নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাশ হল বাংলাদেশের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। রবিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্দিষ্টকরণ আইন ২০১৯ পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট কার্যকর শুরু হবে। এদিন থেকেই শুরু হবে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন। এবারের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। এদিন সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন ও অভিনন্দন জানান। সকালে অধিবেশন শুরু হলে বাজেটের ওপর ৫৯টি মন্ত্রকের অনুকূলে ৫৯টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এসব দাবির ওপর ৯ জন সংসদ সদস্য ৫২০টি ছাঁটাই প্রস্তাব উপস্থাপন করলে এগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত দায়যুক্ত ব্যয় ব্যতীত অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কিত দায় মঞ্জুরির পরিমাণ ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। যা অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত মূল বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার চেয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংযুক্ত তহবিল থেকে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অনুমোদন দিয়েছে, যা ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখের মধ্যে ব্যয় করা হবে। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরীসহ বিরোধীদলীয় সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বাজেটের মূল আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাবদ ব্যয় করা হবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। অনুমোদিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.২ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। এবারের বাজেটের মূল বিষয় হচ্ছে ২০১২ সালে প্রণীত ভ্যাট আইন কার্যকর করা। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিমার্জনের পর ভ্যাট আইন কার্যকরের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।
Leave a Reply