আসাদুজ্জামান নুর
২৪ মার্চ ২০২১ আশুলিয়ায় ৪ বছরের শিশু অপহরণের ২ দিন পর মানিকগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী দূর্গম চর এলাকা হতে শিশু উদ্ধার করেছে র্যাব-৪-অপহরণকারী গ্রেফতার।বিষয় টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক। তিনি আজ মিরপুর-১, পাইকপাড়া র্যাব-৪ সাংবাদিকদের সামনে এই কথা বলেন। গত ২২/০৩/২০১১ ইং তারিখে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ২১ মার্চ ২০২১ তারিখ অনুমানিক ৬.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়ার দাপুর পূর্ণচালা এলাকা থেকে। ০৪ বছরের শিশু মো- আসনান আদিপ অপহরণ হয়। উক্ত ঘটনার পরের দিন অপহরণকারী শিশুটির পিতা-মাতার নিকট ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো।
প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩/০৩/২০২১ তারিখ ৯.০০ ঘটিকা হতে ১১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন বাঘুটিয়া দশম চর এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত শিশু মো- আসনান আদিপ কে উদ্ধারপূর্বক নিম্নোক্ত অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ(১) রাকিন সরদার (২৪), জেলা- মানিকগঞ্জ। ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরণকারী রাকিব সরদার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করার সুবাদে মোট- ০৫ মাস ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ছিল এবং সে ০১ মাস পূর্বে সেখান থেকে চলে যায়। সে সময় থেকেই মূলত শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করতে থাকে। অপহরণের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী রাকিব সরদার বিকালে ভিকটিম শিশুটিকে ঝাল মুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া থানাধীন দূর্গাপুর পূর্বচালা (তালিমুল মাদ্রাসার সাথে) এলাকায় শিশুটির নিজ বাসার গেট হতে রিকশাযোগে জাফরগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বাসযোগে নবীনগর হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন উথুলি এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে জাফরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ট্রলার যোগে যমুনা নদী পার হয়ে দৌলতপুর থানার দূর্গম চর বাঘুটিয়া গ্রামে উক্ত আসামীর নিজ বসতবাড়ীতে আটক রাখে। অপহরণকারী ভিকটিমের বাবার সাথে মুক্তিপণের বিষয়ে দর-কষাকষি করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা আল আমিন এর গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলা হলেও সে আশুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গত ১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিল। উল্লেখ্য যে, উক্ত এলাকাটি যমুনা নদীর তীরবর্তী বালুময় এক দুর্গম চর এলাকা, যেখানে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। যমুনা নদীতে প্রায় ১ ঘন্টা ট্রলারযােগে যাবার পর ১০ কিলােমিটারে অধিক বালুময় রাস্তায় কখনাে পায়ে হেঁটে কখনাে নৌকাযোগে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৪। ক ‘আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ শিশু অপহরণকারী। চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালাে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply