1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :
চাহিদামতো ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ করে না ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ছাগলনাইয়া মৌরী নদীরপারে অপহৃত জসিম উদ্দিন চৌধুরীর লাশ উদ্ধার ইটনায় সেনাবাহিনীর হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার, সংঘর্ষে আহত ১ শেখ হাসিনা কি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? আইন কী বলে জুডিশিয়াল ক্যু’র মাধ্যমে ড. ইউনূস এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা যেত কী: আইন ও বাস্তবতার বয়ান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে মাস্টাররুলে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়িত্বকরণে মানববন্ধন মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলায় বিএনপি নেতার বাড়ীতে যৌথবাহিনী হামলা ও মামলা বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চাইলে কার নিকট পদত্যাগ করবেন, আইন কী বলে মুন্সিগঞ্জ টুংগিবাড়ী উপজেলায় বিএনপি নেতা দোলন ও কুমারী মুসরাত গুমের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফেনী সদর উপজেলা মধুপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারে হামলা ও ডাকাতি

৫ শিক্ষার্থীর থিসিসে তথ্য চুরি ধরায় বাকৃবির অধ্যাপককে হেনস্তা ও অপসারণ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৭০২ বার
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভাগটিতে শিক্ষকদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। গত বছরের মাঝামাঝি পাঁচ শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের গবেষণা প্রবন্ধে তথ্য চুরি ধরার পর থেকে এ অধ্যাপককে নিয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। ওই ঘটনার পর তাকে মেয়াদ শেষের আগেই বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় হল প্রধানের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় অধ্যাপক আনোয়ার ও বিভাগের শিক্ষকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, চলতি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় হল প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে। এর আগে ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাস্টার্সের গবেষণা প্রবন্ধে অন্যের ডাটা ও তথ্য চুরি ধরার পর বিভাগের কয়েক শিক্ষকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে তাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ড. আনোয়ারের।

চলতি বছরের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় হল প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপক আনোয়ার। এছাড়া, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দু’দিন আগে গত ২ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তীকে চিঠি দেওয়া হয়। এটি দিয়েছেন কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পরেশচন্দ্র মোদক ও কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে অভিযোগ আনোয়ার হোসেনের। তার দাবি, যারা থিসিস নকলকে প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদের সঙ্গে উপাচার্যের লিয়াজোঁ আছে।

অধ্যাপক আনোয়ারকে পরীক্ষার হল প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদ জানানো দুই শিক্ষকের মধ্যে কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ারকে এর আগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে সব ক্লাস থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ, তাকে ভর্তি পরীক্ষা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যতগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এর পেছনে কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া, যে ভর্তি পরীক্ষায় ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা দায়িত্ব পান, সেখানে তাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হলো। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে তার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হচ্ছে। এজন্যই আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

অধ্যাপক আনোয়ার জানান, ২০১৬ সালের মে মাসের মাঝামাঝি বিভাগের সব ক্লাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অব্যাহতি দেয় তাকে। এছাড়া, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেনকে গত ২৪ মে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেন উপাচার্য আলী আকবর।

এ বিষয়ে জানতে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবরের মোবাইল ফোনে গত দু’দিন ধরে চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। কথা বলতে চেয়ে মেসেজ পাঠালেও উত্তর দেননি তিনি।

জানা যায়, স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অন্যের ডাটা ও তথ্য চুরি করে মাস্টার্সের গবেষণা প্রবন্ধ সম্পন্ন করার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ধরে ফেলেন থিসিস পরীক্ষা কমিটির প্রধান ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আনোয়ার।

তার দাবি— ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ ও তাদের পাস না করিয়ে ফল প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিভাগের তিন শিক্ষক উল্টো তার ওপর চড়াও হন। এরপর ঘটনার তদন্ত না করেই তাকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব এমনকি সব ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া থেকেও অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রবন্ধ থেকে হুবহু ডাটা ও তথ্য চুরি করেন ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রাজিয়া সুলতানা তার থিসিসের ১২টি স্থানে, মাহমুদুল হাসান ১৬টি, নাজমিন আরা ২৪টি, আলমগীর হোসেন ১৭টি ও সৌরভ ইসলাম ১৯টি স্থানে অন্যের ডাটা ও তথ্য হুবহু যুক্ত করে জমা দেন বিভাগে। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই গবেষণা প্রবন্ধের ওপর অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা।

প্রধান পরীক্ষক তাতে নম্বর বসিয়ে বিভাগে পাঠানোর পর সেগুলো নিরীক্ষা করেন অধ্যাপক আনোয়ারসহ বিভাগের গবেষণা প্রবন্ধের ডিফেন্স কমিটির বাকি তিন শিক্ষক। তিন পরীক্ষক অধ্যাপক আলী আশরাফ, অধ্যাপক নুরুল হক ও অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান প্রবন্ধগুলো নিরীক্ষণ করে নম্বর বসালেও এগুলোতে ডাটা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন কমিটির প্রধান আনোয়ার হোসেন।

পরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর প্রবন্ধে কোনও নম্বর না দিয়ে তাদের অকৃতকার্য দেখিয়ে ফল প্রস্তুত করেন অধ্যাপক আনোয়ার। নিয়ম অনুযায়ী ওই নম্বরপত্রে স্বাক্ষর করার কথা ছিল বাকি তিন শিক্ষকের। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দিতে অধ্যাপক আনোয়ারকে চাপ দেন ওই তিন শিক্ষক। অধ্যাপক আনোয়ারের অভিযোগ, এতে তিনি রাজি না হওয়ায় ওই তিন শিক্ষক তাকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় বিভাগকে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. রকিবুল ইসলাম খান। তখন ড. আনোয়ারসহ কমিটি চার শিক্ষক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে যান। সবার সামনে ফল উন্মুক্ত করার পর সেখানেও রাজিয়া সুলতানাসহ বাকি চার শিক্ষার্থীর থিসিস নকলের বিষয়টি উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনোয়ার। তার দাবি, সেখানে ফল সংশোধন করে নতুন টেবুলেশন শিট তৈরি করে তাতে স্বাক্ষরের জন্য চার ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয় তাকে।

ফল পরিবর্তনের জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. রকিবুল ইসলাম খানও চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এটা স্বীকার করেননি তিনি। বাংলা ট্রিবিউনকে ড. রকিবুল ইসলাম খান বলে, ‘টেবুলেশন শিটের যেখানে শিক্ষার্থীদের নম্বর লেখার কথা সেই স্থানে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন লাল কালিতে লিখে রেখেছেন ‘নকল থিসিস’। সবার উপস্থিতিতে তার নম্বর বাদ রেখে বাকি তিন শিক্ষকের দেওয়া নম্বর গড় করে ওই শিক্ষার্থীদের ফল দিতে চাইলে তিনি টেবুলেশন শিটে স্বাক্ষর করেননি। এখানে তাকে চাপাচাপি অথবা লাঞ্ছিত করা হয়নি।’

গবেষণা প্রবন্ধে অন্যের ডাটা ব্যবহারের পরও ওইসব শিক্ষার্থীদের কেন পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল জানতে চাওয়া হয় অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের কাছে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানার সুপারভাইজার শিক্ষক জায়েদা মঈন ও বাকি চার শিক্ষার্থীর কো-সুপারভাইজার ছিলেন থিসিস ডিফেন্স কমিটির বাকি শিক্ষকরা। গবেষণা প্রবন্ধে নকলের মতো একটি বড় অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে ফেলেছেন তারা। অপরাধ প্রমাণিত হলে ফেঁসে যাবেন– এই ভয়ে তারা যেভাবেই হোক ওই শিক্ষার্থীদের পাস করাতে চেয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ২৩ মার্চ ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ শিক্ষকদের অশালীন আচরণের ব্যাপারে অভিযোগ জানান অধ্যাপক আনোয়ার। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি।

উল্টো এর ১০ দিন পর ৩ এপ্রিল রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে ড. আনোয়ারকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার স্থানে দায়িত্ব পান কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন। পরদিন ৪ এপ্রিল নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও ডিনের স্বাক্ষর দিয়ে ওই পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করে বিভাগ। কিন্তু প্রথমে তৈরি করা মূল ফলের টেবুলেশন শিট এখন পর্যন্ত নিজের কাছেই আছে বলে জানান অধ্যাপক আনোয়ার।

ফল প্রণয়ন সভায় আনোয়ার হোসেনের লাঞ্ছিত হওয়ার কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন বিভাগের অধ্যাপক আলী আশরাফ। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক নুরুল হক অনেক প্রবীণ একজন শিক্ষক। অধ্যাপক আনোয়ার টেবুলেশন শিটে স্বাক্ষর না করায় ও অসংলগ্ন কথা বলায় নুরুল হক তার ওপর চড়াও হন এবং দুর্ব্যবহার করেন।’

শিক্ষার্থীদের থিসিসে ডাটা চুরির বিষয়ে অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, ‘আমাদের চোখে ডাটা চুরির কোনও কিছু ধরা পড়েনি। তবে থিসিসের মান খুবই খারাপ ছিল। এটা ঠিক। এর মধ্যে রাজিয়া সুলতানার থিসিসের মান ছিল সবচেয়ে খারাপ।’

অথচ ৪ এপ্রিল ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, থিসিস নকল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজিয়া সুলতানাকে দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি নম্বর! তিনি সিজিপিএ-৩.৬০ পেয়েছেন। এছাড়া, মাহমুদুল হাসানকে ৩.২০, নাজমিন আরাকে ৩.৪৪ ও আলমগীর হোসেনকে দেওয়া হয় ৩.২৫। অন্য শিক্ষার্থী সৌরভ ইসলামের ফল জানা যায়নি।

থিসিসে অন্যের ডাটা ব্যবহারের পরও ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।’

অন্যায় আচরণের অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের নিম্ন আদালতে গত বছর একটি মামলা করেন অধ্যাপক আনোয়ার। সেখান থেকে মামলা তুলে নিয়ে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এরপর তাকে অব্যাহতি দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না– জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। এতে চার সপ্তাহের মধ্যে বাকৃবির উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৮তম সিন্ডিকেট সভার বিষয়সূচির পরবর্তী রেকর্ড প্রতিবেদনে বলা হয়—অধ্যাপক আনোয়ারকে কোনও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া বিধিসম্মত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। ফলে এ নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করা যাচ্ছে না। কোর্টের বিষয় কোর্টের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।’

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com