যেনো এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করে ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে শুধু তাই নয় এই ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে মানা হচ্ছে নাহ আদালত, মন্ত্রণালয়,মন্ত্রী, এম পি গনের ন্যায়সংগত সুপারিশ একমাত্র মানা হচ্ছে দালাল এবং ভূয়া কাজীদের নির্দেশনা ।কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনিময়ে নিয়ােগ ও লাইসেন্স বাণিজ্যচালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযােগ ও উঠেছে এই অফিসের। এমন এক অভিযােগ তীর ছুড়ে মারেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভােগী। তিনি এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনের উত্তর সিটি করপােরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন দারুস সালাম এলাকার (১০ নম্বর ওয়ার্ড) নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী নিয়ােগের প্রয়ােজন দেখা দেয়। সেখানে রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা কাজী হিসাবে নিয়ােগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসকে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়ােগের জন্য মন্ত্রনালয় থেকে প্যানেল তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে প্যানেল করে ০৮/০৭/২০১৯ ইং তারিখে সেটিও গায়েব হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২য় প্যানেল হয় ২২/১১/২০১৯ ইং তারিখে।
এক্ষেত্রে প্যানেলে প্রথমস্থানে ছিলেন রফিকুল ইসলাম , পিতা-মােঃ জালাল উদ্দিন, মাতাজহুরা বেগম, ঠিকানা-২৬/বি-ডি, লালকুঠি, প্রথম কলোনী, থানা-দারুস সালাম, ডাকঘর-মিরপুর, জেলা-ঢাকা-১২১৬ ওয়ার্ড নং-১০। ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশন যিনি এখানকার বর্তমান বাসিন্দা।
অথচ রেজিস্ট্রার অফিসের কিছু কুচক্রি মহল উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে তাকে নিয়ােগ না দিয়ে মােটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে বেআইনিভাবে প্যানেলের দ্বিতীয় ব্যক্তি জনাব মোহাম্মদ নাজমুল হক, পিতা-মােঃ আনোয়ারুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা এবং ভােটার। তার বর্তমান ঠিকানা গ্রাম/রাস্তা -পানিয়ারুপ, উত্তরপাড়া, ডাকঘরঃ পানিয়ারুপ-৩৪৬০, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রের নং১২১৬৩৫৬৫৬৭৮৩৭ং বাসিন্দা কে নিয়ােগ দেওয়া হয়েছে। অথচ বলা আছে যে নিকাহ রেজিষ্ট্রার বা কাজী নিয়োগে পেতে হলে উক্ত এলাকায় তাকে অবশ্যই বাসিন্দা হতে হবে ।যখন তিনি আবেদন করেন তখন তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ২৫৩/৪-এ, ২য় কলােনী এই ঠিকানার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আবেদন করেন। পরে এই বিষয়ে জানতে চাইলে এই বাড়িতে গেলে বাড়ির মালিক এস এম মাহবুব আলম বলেন তিনি উপরোল্লিখিত ঠিকানার স্থায়ী অথবা অস্থায়ী বাসিন্দা নন তার দেয়া তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করার কথাও জানান তিনি। শুধু উনিই নন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের। এবং ৯,১০,ও ১১ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন যে, মোহাম্মাদ নাজমুল হক, যে ঠিকানায় নাগরিক পত্র দাখিল করেছে তা মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং তিনি এই এলাকার বাসিন্দা নয় বলে অবহিত করেন।
এখানেই মোহাম্মাদ নাজমুল হক এর জালিয়াতি শেষ নয় তিনি রিদওয়ান আহমেদ (তানভীর) পিতা- আবু নাসের মাে: ওয়াহেদুর রহমান, সেতারা, ঠিকানা: ৪৪৯ ইব্রাহিমপুর, কাফরুল, ঢাকা-১২০৬। নামের এক ব্যক্তি কে সার্টিফিকেট (এডুকেশনাল) শর্ত মােতাবেক ভাড়া দেন যার ফলে নিকাহ রেজিস্ট্রি ভাগেও যোগ হয় তার কমিশন যা কোনো আইনের মধ্যে নেই। যা দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৬৫ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত যেকোনো বর্ননার কারাবাস বা অর্থদন্ডসহ বা উভয় দন্ড হতে পারে, ।
তিনি জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ২৫৩/৪-এ, ২য় কলােনী, মাজার রােড, দারুসসালাম মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬ ঠিকানা ব্যবহার করে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার নিকাহ রেজিস্ট্রার লাইসেন্স হাসিল করেছে। ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন উচ্চ মহলে গিয়েও কোনো সুরাহ পাচ্ছেন না তার দাবী জেলা রেজিস্ট্রার অফিস বিষয় টিকে আমলে নিয়ে সুবিচার এর ব্যবস্থা করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করুক।
Leave a Reply