যৌতুকের দাবিতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় খাদিজা (২৩) নামের এক গৃহবধু শশুর-শাশুড়ির পিটুনিতে আহত হয়ে গত তিনদিন ধরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। আহত গৃহবধু উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের কাজীহাটি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি।
পারিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরপাড়াতলা গ্রামের চঞ্চল মিয়ার মেয়ে খাদিজা খাতুন। ২০১৩ সালে একই উপজেলার কাজীহাটি গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় খাদিজার। স্বামী মোস্তাফিজ চার বছর ধরে সৌদি আরব থাকেন। সেখানে থেকেই মুঠোফোনের মাধ্যমে নেত্রকোণার এক মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ডিসেম্বর মাসে মোস্তাফিজ বাড়িতে এসে গোপনে ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে খাদিজা ও মোস্তাফিজের মধ্যে এ নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মোস্তাফিজ ফের সৌদি আরব চলে যান। সৌদিতে গিয়ে মোস্তাফিজ মুঠোফোনে খাদিজাকে জানায়, নতুন বউকে বিয়ে করতে তার ২০ লাখ টাকা দেনমোহর দিতে হয়েছে, তুমি যদি আমার বাড়িতে থাকতে চাও তাহলে ওই দেনমোহরের ২০ লাখ টাকা তুমি পরিশোধ করে দাও, না হলে তুমি আমার বাড়িতে থাকতে পারবে না।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা খাতুন জানান, দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই আমার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। দেনমোহরের ২০ লাখ টাকা যদি আমি বাপের বাড়ি থেকে এনে দেই তাহলে আমাকে রাখবে, অন্যথায় আমাকে রাখবে না বলে হুমকি দেয়। টাকা কেন এখনও আমি দেইনি এজন্য শশুর ও শাশুড়ি আমাকে মারধর করে।
খাদিজার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে তার শশুর তাহের উদ্দিন বলেন, আমি বা আমার স্ত্রী তাকে কোনও মারধর করিনি।পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply