আমাদের প্রতিনিধী প্রেরীত সংবাদঃ
গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কাপাসিয়া থানায় এক চাঞ্চল্যকর ব্যাংক ডাকাতি ও নাইট গার্ডের হত্যার মামলার বিচারের রায় সংক্রান্ত তথ্য জানায়। তিনি মামলা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে-কাপাসিয়া থানাধীন তোকেনয়ন বাজারে ব্র্যাক এন.জি.ও ঋনদান প্রতিষ্ঠানে গত ১৫/৫/১৭ইং তারিখ রাতে একদল ডাকাত নাইট গার্ড মৃত মোঃ লোকমানের যোগসাজসে ২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে কিন্তু ভুলের মাসুল হিসাবে নাইট গার্ডকে মৃত্য বরন করতে হয়। ফলে মামলার বাদী পার্শ্ববর্তী অগ্রনী ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ অনুসারে আসামীদের চিহ্নিত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। কাপাসিয়া থানা পুলিশ মোট ৯ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন ১।মোঃ আজম আলী, পিতা মৃত-নাসির উদ্দিন ২।কালাম মিয়া, পিতা মৃত- আব্দুল হালিম, ৩। মোঃসাইদুল মিয়া, পিতা- কামরুল মিয়া, ৪।মোঃ মারুফ, পিতা- মোঃ নাসিরকে গ্রফতার করতে সক্ষম হয় কিন্তু আদৌ ডাকাতিকৃত ২৫ লক্ষ টাকা উদ্বার করতে পারে নাই। আই/ ওর তদন্ত ও ৪ জন আসামীর স্বীকার উক্তিতে জানা যায় যে, এই মামলায় পলাতক ৫ জন আসামীরা ৫।হালিম মিয়া, পিতা-মৃত রুস্তম মিয়া, ৬। জুবায়ের মাসুদ, পিতা-মোঃ বাতেন, ৭। সঞ্জয় কুমার পাল, পিতা-মৃত সপন কুমার পাল, ৮। মাঈদুল ফকির, পিতা- জলিল ফকির, ৯।মোঃ রিপন মিয়া, পিতা- মোঃ মোবারকগন সব টাকা আত্মসাধ করে আজঅব্দি পলাতক আছে এবং হত্যাটি সম্পুর্ন দূর্ঘটনা জনক। যাহার ফলে দীর্ঘ বিচারীক শুনানীর পর বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ মোঃ একরামুল চৌধুরী এই মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনসহ সাক্ষী প্রমানে গত ৬/১১/২০১৯ ইং তারিখ সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদি কঠোর সাজা ও আর্থিক জরিমানায় দন্ডিত ঘোষীত করেন। যাহার মধ্যে হাজতি ২ জন ১ মোঃ আজম আলী, ২। কালাম মিয়া এবং পলাতক ৫। হালিম মিয়া, ৬। জুবায়ের মাসুদকে মূখ্য অপরাধী হিসাবে প্রতিজনকে ১৪ বৎসর সশ্রম কারাদন্ডসহ জনপ্রতি ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বৎসর কারা ভোগের সাজা প্রদান করেন। এবং হাজতি২ জন ৩।মোঃ সাইদুল, ৪। মোঃ মারুফকে ৮ বৎসর সশ্রম কারাভোগসহ প্রতিজনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বৎসর কারাভোগের সাজায় দন্ডিত করেন। এবং পলাতক ৩ জন ৭। সঞ্জয় কুমার পাল, ৮।মাইদুল ফকির,৯।মোঃ রিপন মিয়াকে ১০ বৎসর সশ্রম কারাবাস ও প্রতিজনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বৎসর কারাভোগের আদেশ ঘোষীত করেন। আদালতে ভাষ্য মোতাবেক এই রায়ে আরও উল্লেখ আছে যে, যদি হাজতী/ফেরারী অপরাধীরা আত্নসমর্পন ও ডাকাতিকৃত ২৫ লক্ষ টাকা দ্রুত ফেরৎ /পরিশোধ করতে পারলে রাষ্ট্রীয় বিশেষ সংশোধনী/ক্ষমার আইনে তাহাদের দীর্ঘ মেয়াদী সাজা মেয়াদ কিছুটা বিবেচনাধীন লাঘব হইবে।
Leave a Reply