1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :

রাজধানী মোহাম্মাদপুরে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ মো: ইউসুফ মিয়ার বিরুদ্ধে

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০
  • ১০২৩ বার
ছবি- এভাবেই হাজী ইউসুফ মিয়া গাছ কেটে ফেলে রাখে।(মোবাইল থেকে নেয়া)

মোহাম্মাদপুর থেকে আসাদুজ্জামান নূর

খাদ্যের উৎস, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, চিত্তবিনোদন এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই গাছ থেকেই আমরা অক্সিজেন গ্রহন করি।  বৃক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকার ফল, মিষ্টি রস, ভেষজ দ্রব্য, কাঠখড়িসহ অনেক মূল্যবান সম্পদ পাই।  আর এই গাছ রোপনেই শহরের সৌন্দর্যায়ন হবে, যেখানে সরকার  সবুজায়নের পক্ষে গাছ লাগানোর জন্য দেশের জনগন কে অবহিত করছে, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পালিত হচ্ছে অরণ্য সপ্তাহ।  আর সেই সময়ে এই আদেশ কে তোয়াক্কা না করে হাজী ইউসুফ মিয়া নামের একজন রাজধানী মোহাম্মাদপুর হাউজিং এর গাছ কেটে ফেলে। ঘটনাটি ঘটে   গত ১৭/০৬/২০ ইং বুধবার সকাল ৯:৩০ টায়।  সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অবাধে কাটা হয় ৪-৫ টি কৃষ্ণচুড়া গাছ । আর এই গাছ গুলোর  বয়স হয়েছিল প্রায় দশ বছর।

ছবি- কৃষ্ণচুড়া গাছ

জানা যায়, এই গাছ গুলো ছিল হাউজিং এর জায়গায়, আর এই গাছ রোপন করেন রাজধানী হাউজিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল আলম সেলিম। তিনি বলেন আমি এই গাছ হাউজিং এ সুন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার্তে রোপন করি। এটা কারো কোনো ব্যাক্তিগত জায়গার মধ্যে না। আর এই গাছ হাজী ইউসুফ মিয়া কেটে ফেলে। আর হাজী ইউসুফ মিয়া গাছ কাটার জন্য হাউজিং এর  কারো কাছে কোনো অনুমতি ও নেননি।অনেকে বলেন হাজী ইউসুফ মিয়া তার বাসার সামনে দোকানের জন্য জায়গা ফাঁকা করার লক্ষেই  রাস্তার এই গাছ কাটেন। মোহাম্মাদ পুর থানার পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে এই বিষয়টি তদন্ত করেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রাজধানী হাউজিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল আলম সেলিম  আরো বলেন, কেনো এই গাছ কেটে ফেলা হল আমি তা জানি না, এই গাছ কোনো ব্যাক্তির জায়গায় নয়।

ছবি। মোবাইল থেকে নেয়া

আমি চাই, যে এই গাছ কেটেছে তাকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ’  আওতায় এনে তার সুষ্ট বিচার করা হোক।  বৃক্ষ সংরক্ষণ বিল, ২০১২’- তে বলা আছে যে, পাবলিক প্লেসের গাছ কাটার অপরাধে তিন মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করে ‘বৃক্ষ সংরক্ষণ বিল, ২০১২’ উত্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান বন আইনে সংশোধন এনে আইনে কতিপয় ব্যাখ্যা ও সংজ্ঞা সংযোজন এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তি বৃদ্ধির বিধান করে ‘ফরেস্ট (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১২’ নামে আরেকটি বিলও উত্থাপিত হয়।

বিলের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এ আইনের লঙ্ঘন করলে বা সহায়তা করলে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দণ্ডিত হবেন।

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com