শাহরিয়ার মাসুম
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং সালে ফরিদপুর, বােয়ালমারী উপজেলা, ঘােষপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মােঃ ফারুক হােসেনের ছােট ভাই মােঃ ডালিমকে দূর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে হত্যা করে। যাহার পর দীর্ঘদিন এই মামলাটি আদালতে চলমান থাকার পর গত ২৭শে জুন ২০১৯ইং সালে বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ আদালত ফরিদপুর মামলার মােট ৫জন আসামীকে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত করেন।
উল্লেখ্য যে-বিজ্ঞ বিচারক জনাব তৌহিদুল হাসান চৌধুরী,অতিরিক্ত দায়রা জজ মামলার ২জন পলাতক আসামী ২। মােঃ বারেক, পিং-জহিরুল মিয়া,৩। তাইজুল ডােম, পিং-মৃত সবুর উদ্দিন। জামিন লঙ্ঘনকারী পলাতক অপরাধীকে ১৪ বৎসর সশ্রম কাড়াদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামী ১।মােঃ জাহিদুল ইসলাম,পিং-মৃত আব্দুল আলিম মিয়াকে মামলার মূখ্য হুকুমের অপরাধী সাব্যস্থ্য করিয়া যাবৎ জীবন সশ্রম কাড়াদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এই মামলায় ২জন আত্নসর্মপন কৃত উপস্থিত আসামীকে বিশেষ বিবেচনায় ৭বৎসর সশ্রম কাড়াদন্ডসহ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযােগ প্রসংঙ্গে জানা যায় যে-কে.এফ.করিম বহুমুখী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মােঃ জাহিদুল ইসলাম কে মূখ্য আসামী করে মােট ৫জনের বিরুদ্ধে এলাকার চেয়ারম্যান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন এবং দীর্ঘদিন এই হত্যার অভিযােগটি আদালতে চলামান ছিল। বিভিন্ন সাের্সে আমাদের প্রতিনিধি এলাকায় অনুসন্ধানে জানতে পারেন যে-মামলাটি মূল উৎস পারিবারীক সম্পত্তির ভাগবন্টন কেন্দ্র করে মামলার প্রধান সাক্ষী মােঃআবু সালেহর সাথে মুখ্য পলাতক আসামী প্রধান শিক্ষকের অন্তদন্ড ও শত্রুতা চলমান ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে শত্রুতা চরমে পৌঁছালে শিক্ষক মােঃ জাহিদুল ইসলাম ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের দ্বারা মােঃআবু সালেহ ও মােঃ ডালিমকে হত্যার চেষ্টা চালালে ভাগ্যক্রমে আবু সালেহ জানে বেচে যায়। কিন্তু এই নির্মম হত্যাকান্ডে মােঃ ডালিম মৃত্যুবরণ করেন এবং মােঃ জাহিদুল ইসলাম ঘটনার দিন থেকে স্বপরিবারে আত্নগােপনে আছেন। আমাদের প্রতিনিধি গােপনে গভীর অনুসন্ধানে আরও জানতে পারেন যে-এই হত্যার মূল রহস্য সম্পূর্ণ ক্ষমতার প্রভাব ও দুর্নীতি সম্পৃক্ত ষড়যন্ত্র মুলক এবং স্বার্থসিদ্ধি মূলক ভিন্ন ঘটনা কে কেন্দ্র করে হত্যা সংঘঠিত করা হয়েছে-যাহার সাথে মােঃ জাহিদুল ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা। কিন্তু প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান ও প্রধান সাক্ষী মােঃআবু সালেহর ব্যক্তিগত শত্রুতা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম কে এই মামলায় জড়িয়ে এলাকা ও কর্মস্থল ত্যাগে বাধ্য করেছে। ঘটনাটি এলাকায় উভয় পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের বিরাজমান আছে।
Leave a Reply