জুয়েল মাহমুদ
পটুয়াখালী বাউফল থানা নিয়ন্ত্রনাধীন চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহেদা আক্তার (৩৫), স্বামী কামাল হােসেন (প্রবাসী)ও তাহার নাবালক পুত্র আব্দুল্লাহ আল নােমান (১০)কে যুবলীগ সন্ত্রাসীরা বাউফল বাসস্টেন্ডে জনসমূখ্য নির্মম ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে-গত ৮ই মার্চ ২০২১ইং সকালে ভিকটিম জাহেদা আক্তার পূত্রকে সাথে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর মিলি বেগম ধর্ষন মামলায় স্বাক্ষী দিয়ে গৃহে ফেরার পথে আনুমানিক বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় বাস থেকে নামার পর ৪/৫জন মুখ ঢাকা সন্ত্রাসীরা ধারালাে হাতিয়ার দ্বারা তাহাদের আক্রমন চালায়। এমতাবস্থায় তাহাদের চিৎকারে পার্শবর্তি লােকজন পৌছানাের পূর্বেই দূর্বৃত্তরা ফাকা গুলি করতে করতে দ্রুত মাটর বাইকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি মা ও পূত্রকে রক্তাত্ত জ্ঞানহীন আহত অবস্থায় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করলে কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন এবং পুলিশ পরিদর্শক এস.আই.মনােজ গুপ্ত এ বিষয় দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস জানায় । আমাদের প্রতিনিধি এলাকাবাসিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে-মদনপুরা ইউনিয়নের যুবলীগ সন্ত্রাসীরা চন্দ্রপাড়া গ্রামের গরীব কৃষক নুরুল ইসলামের স্ত্রী মিলি বেগম(২১)কে ধর্ষন করার দায়ে আদালতে মামলা হয় এই মামলার মূখ্য স্বাক্ষী জাহেদা আক্তার উক্ত তারিখ আদালতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ার কারনে দূর্বৃত্তরা মা ও পুত্রেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এলাকাবাসির ধারনা ও আশঙ্কা যে সন্ত্রাসীরা পুনরায় আক্রমন/যে কোন ভয়ানক পদক্ষেপ নিতে পারে, বিধায় এবিষয় তাহাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আইন সংস্থাকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ এবং বর্তমানে জাহেদা আক্তারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাযুক্ত। প্রতিনিধি বাদীর সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন যে-ভিকটিম মিলি ও স্বামী নুরুল ইসলাম বিচার চলাকালিন সন্ত্রাসীদের নির্মম আক্রমন ও জীবন নাশের হুমকিতে গুরুতর আহত অবস্থায় গ্রাম ত্যাগ করে অন্যত্র আত্নগােপনে আছে। সংবাদটি প্রচার হওয়া পর্যন্ত বাউফল থানা কোন আসামীকে গ্রেফতার বা মামলা রেজিষ্টার করা হয় নাই।
Leave a Reply