আসাদুজ্জামান
চাঞ্চল্যকর রােজীনা অপহরন ও নির্মম হত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্যাদি উৎঘাটন করেন। উল্লেখ্য যে- বাইশগাঁও ইউনিয়নে নােয়াগাও গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আমিনের কন্যা কুমারী রােজীনা আক্তার (১৭) কলেজ ছাত্রি গত ১৪/০৬/১৮ইং সন্ধায় বান্ধবীর বাড়ী থেকে গৃহে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা অপহরন করে। অপহরন প্রসঙ্গে জানা যায় যে- দুর্বৃত্তরা পরিকল্পীতভাবে টেম্পু যােগে পূর্বথেকে রােজীনার রিক্সা অনুসরণ করতে থাকে এবং উপজেলা সড়ক পার হয়ে নিরিবিলি স্থানে দুর্বৃত্তরা রিক্সা চালক ও রােজীনাকে ঘিড়ে ফেলে। দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মূখে জীবন নাশের ভয়ভীতি/হুমকি দেখিয়ে রােজীনাকে টেম্পুতে উঠিয়ে পালিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৭২ঘন্টাপর গত ১৭/০৬/১৮ইং দুপুরে পুলিশ ফোর্স দূরবর্তি চৌমুহনি পুলপাড় থেকে রােজীনার লাশ উদ্ধার করেন।পুলিশ ফোর্স ভিকটিমের বান্ধবী লামিয়া খাতুনের তথ্য অনুসারে রিক্সা চালককে পরদিন থানার হেফাজতে বন্দি করে তাহার স্বিকার উক্তি লিপিবদ্ধ করেন। এই বিষয় পুলিশ ও ভিকটিমের পিতা সুলতান আমিন অপহরন ও পাষবীক নির্যাতনসহ হত্যাকান্ডকে পরিকল্পীত ও শত্রুতামুলক দাবী করে ১৯জন সন্দেহ ভাজন যুবকের বিরুদ্ধে সেই রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন। পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭জন সন্দেহভাজন আসামীকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের সত্যতা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয় এবং অপরাধে জড়িত পলাতক ১২আসামীদের সম্পৃত্বতা উৎঘাটন করে তাহাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চালিয়ে যায় ।আই/ওর তদন্ত প্রতিবেদনে জানাযায় যে-দুর্বৃত্তরা রােজীনাকে বাকচাতল গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে বন্দিকরে গনহারে যৌন নির্যাতনেপর ১৭ই জুন ভােররাতে গলাটিপে হত্যা করা হয় এবং ময়না তদন্ত রিপাের্টে গনধর্ষন ও শ্বাসরুদ্ধ হত্যার বিষয় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে ।আই/ওকে তদন্তের বিষয় জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে-আসামীরা রােজীনাকে কোথাও একাদেখলেই বিভিন্নভাবে ত্যাক্ত বিরক্ত করাতে ভিকটিমের পিতা পঞ্চায়েতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযােগ জানায়।পঞ্চায়েত তাহাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াতে আসামীরা প্রতিশােধ পরায়ন হয়ে এই গুরুতর অপরাধ সংঘঠিত করিয়াছে। ভিকটিমের পিতা বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে-মূখ্য পলাতক হুকুমের আসামী মােঃসামসুজজামান,যুবদল নেতা তাহার কন্যাকে বিবাহের জন্য প্রস্তাব ও বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টিকরে কিন্তু রােজীনা কোন রাজনৈতীক ব্যক্তিত্বের সাথে বিবাহে রাজি না থাকায় বাদী তাহার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করেন। ফলে মূখ্য আসামী দলবল নিয়ে প্রতিনিয়ত রােজীনাকে দেখলেই ত্যাক্ত বিরক্ত করতে থাকে এবং মানহানিকর কুপ্রস্তাব জানালে বাদী তাহাদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন।যাহার পরিপ্রেক্ষিতে আসামীরা প্রতিশােধ পরায়ন হয়ে মূখ্য আসামীর পরিকল্পনায় রােজীনাকে অপহরন ও দীর্ঘ গনধর্ষনের পর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। মামলার আই/ও দীর্ঘ সুক্ষতদন্তের এজাহার ভুক্ত ১৯জন আসামীর মধ্যে ১৩জনকে দন্ডবিধি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত মানিয়া গত ২৩/১২/১৯ইং আদালতে অভিযােগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন গ্রাম-সাতঘড়িয়া বাসিন্দা মূখ্য পলাতক ১। মােঃ সামসুজ্জামান (৩৪),পিং-আবুল কালাম, ২।নুর উদ্দিন নুরু(৩০),পিং-বরকত উল্লাহ, গ্রাম-হাসনাবাদ বাসিন্দ্, ৩।জসিম উদ্দিন(৩৭),পিং-নুরুজ জামান,৪। রুবেল আহমেদ(২৮),পিং-জাকির আহমেদ, ৫।নুরুন নবী(৩২), পিং-কামরুল হােসেন গ্রাম-নােয়াগাও বাসিন্দা ৬ |সােহাগ আহমেদ(৩০),পিং-আব্দুল রাজ্জাক,হাজতী৭।মােঃ রফিকুল(৩৩),পিং-মৃত আজিজ মিয়া,৮।রাশেদ হাসান(২৪),পিং-হাজী নুর উদ্দিন, গ্রাম-বাকচাতল বাসিন্দা ৯।ইসমাইল খান(২৭),পিং-ওমাের খান,১০। রহিম উদ্দিন রুপক (২৪),পিং-মুসা আহমদ, গ্রাম-বুরপৃষ্ট বাসিন্দা ১১।রেজওয়ান রাজু (২৫),পিং-হাকিম মাষ্টার, ১২। মােঃ মিনার (২২), পিং-শাহজাহান মিয়া, গ্রাম-নােয়াষ্ট বাসিন্দা। ১৩। ইকবাল মাহবুব(৩২), পিং-মােঃএরশাদগন। অভিযােগ থেকে মুক্তি প্রাপ্ত আসামীরা ১। সাহেদুল ইসলাম, পিং-মুক্তার হােসেন,২।হাবিব উল্লাহ,পিং-মুজিব মিয়া,৩।জীবন কুমার ,পিং-রঞ্জীত কুমার,৪।মােঃ মামুন শিকদার, পিং-মুর্শেদ শিকদার,৫।দৌলত হােসেন পিং-মৃত সাখওয়াৎ হােসেন,৬।শাকিল মল্লিক,পিং- হুমায়ুন মল্লিকগন। প্রতিনিধি আসামীদের পরিবার ও আইন জীবির সাথে যােগাযােগে জানতে পারেন যে-এই নির্মম অপরাধের ঘটনাটি বাদী ক্ষমতাশীন রাজনৈতীক দলের ষড়যন্ত্র ও চাপের মূখে নিরিহ ৮/৯জন বিরােধী রাজনীতি দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরােপ করিয়া চক্ৰন্তকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত করিয়াছে। যাহার কারনে নিরিহ আসামীরা আইন সংস্থা ও সরকারী দলের হামলা মামলা ও নির্যাতনে জীবনের নিরাপত্তার অভাবে দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে আত্নগােপনে আছে এবং পরিবারবর্গরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হয়ে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র বসবাস করছে।
Leave a Reply