সাইফুল ইসলাম
গত ১১অক্টোবর ২০১৯ইং সন্ধায় ফেনীর সােনাগাজী উপজেলা ফাজিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে এলাকার জামায়েত শিবির দূর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি চরম ভীতকর উত্তেজনার সৃষ্টি ঘটায়।বিশ্বস্থ সূত্রে জানাযায় যে- রবিউল হক মানিক (৩৫) দীর্ঘদিন এলাকবাসির উপর দলীয় অনৈতীক ক্ষমতা প্রভাবে চাদাবাজি দস্যুতা,হত্যা,অপহরন,ধষর্নসহ সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি জোরদখল ইত্যাদি বিভিন্ন অমানবীক নির্যাতন ও গুরুতর অপরাধ চালিয়ে আসছিল। সাের্সের মাধ্যমে জানাযায় যে-মানিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা চলমান আছে এবং তিনি দলীয় ক্ষমতার জোরে আইনের চোখে ধুলাদিয়ে স্বাধীনভাবে বিচরন করছিল। ঘটনা প্রসঙ্গে ফাজিলপুর বাজার সমিতি জানাযায় যে-উক্ত সন্ধায় মানিক দলবল নিয়ে বাজারে চাদাবাজি চালানাে কালিন প্রতিপক্ষ ৮/৯জন মূখােশ ধারী শিবির কর্মীরা সুযােগ মােতাবেক তাহাদের ঘিরে ফেলে এবং চোখের পলকে ধারালাে হাতিয়ার দ্বারা মানিককে নির্মমভাবে কুপিয়ে দ্রুত অন্ধকারে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা মানিককে দ্রুত থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজিরকরলে চিকিৎসারত ডাক্তার কিছুক্ষনপর তাহার মৃত্যু ঘটে এবং ঘটনাটি দ্রুত প্রচারীত হলে এলাকায় নির্যাতীত জনগন সুস্থির নিঃশ্বাস ও সন্তুসভাব প্রকাশকরে। কিন্তু পরদিন মানিকের সমর্থক যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এলাকার মাদ্রাসা ও গ্রামের সংখ্যালঘুদের গৃহে ভয়াবহ তান্ডব/ভাঙ্গচুড় ইত্যাদি চালিয়ে ভয়ভীতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি ঘটায়।যুবলীগ জেলা শাখা নেতাকর্মীরা এই হত্যাকে সম্পূর্ন সুপরিকল্পীত আক্ষায়িত করে ৯জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ ৪জন সন্দেহভাজন ১। মােঃ সায়েম (২৫),পিংমৃত মােঃ উমাের,২। মােঃ কায়েস উদ্দিন(২২),পিং-হেলাল মাষ্টার,৩। ইরফান হােসেন (২৪),পিং-সামাদ হােসেন,৪। তালিম ভূঞা(২৫),পিং-রসুল ভুঞাকে গ্রেফতার ও হাজতে বন্দিকরে। এই মামলার এজাহার ভুক্ত পলাতক মূখ্য আসামী ১।আব্দুর রহিম (২৮),পিং-জয়নাল আবেদীন,২। মােঃ ইমরান শরিফ (২৭), পিং-আবু সামাদ,৩।মনােহর ইসলাম(২২),পিং-নেছার উদ্দিন,৪।রঞ্জন বিশ্বাস(২৮),পিং-রাজেন্দ্র বিশ্বাস, ৫। মােঃশফিকুল(২৮),পিং-হামিদুর রহমানদের গ্রেফতার করতে আইন সংস্থা সর্বত্র সন্ধানরত আছে। প্রতিনিধি আসামীদের পরিবার/আত্নিয়দের সাথে যােগাযােগে জানতে পারেন যে-মৃত ভিকটিম মানিকের সাথে আসামীদের বিভিন্ন রকম জটিল সমস্যা/শত্রুতা চলমানছিল কিন্তু হত্যার মতন গুরুতর অপরাধ করার সাহস তাহাদের কাহারাে নাই বিধায় মামলাটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্র মূলক দাবী করেন। তাহারা আরাে দাবী করেন যে-মানিকের সাথে অনেকের গভীর শত্রুতা চলমান এবং মানিকের সুভাকাঙ্খী ও পরিবার এ বিষয় অবগত আছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করে নিরীহদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত মূলক মামলা দায়ের করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্মম নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়ে পরিবারবর্গকে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করছে। বাদী ও ভিকটিমের সঙ্গীসাথীদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সূত্রপাত সম্পুন ভিন্ন রুপ-রেখা প্রতিয়মান হয় যে-মানিক অত্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ ও সৎ পরউপকারী যুবক এবং সর্বদা সংখ্যালঘু/গরীব ভুমিহীনদের সাহায্য সহযােগীতা নিয়ােজত ছিলেন। কিন্তু এলাকায় মৌল জঙ্গিবাদ জামায়েত শিবির দূর্বৃত্তরা তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা/বানােয়াট অপপ্রচারনা চালালে মানিক তাহাদের কঠোর প্রতিবাদ করে বিধায় উভয়ের মধ্যে শত্রুতা ঘনভুত হয় এবং সুযােগ মােতাবেক উক্ত সন্ধায় মানিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। সােনাগাজী থানার ওসি এবং আই/ওকে হত্যার সূত্রপাত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-হত্যাকান্ডটি প্রাথমিক প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত শত্রুতার জের হিসাবে ধারনা করা হচ্ছে তবে ভবিষ্যতে অভিযােগের তদন্তে বিষয়টির বাস্তবতা জানাযাবে এবং আইনের গতিতে তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।
Leave a Reply