চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধি:
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করার কথা বলে কিশোরী প্রেমিকাকে বাড়ির পাশের খালপাড়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক রুবেল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক রুবেলের অভিভাবকরা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করেছে।
ঘটনার পর বিয়ের আস্বাস থেকে রুবেল ও তার পরিবার সটকে পরলে নিরুপায় হয়ে কিশোরী ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে গত ২৩ মে ধর্ষক রুবেলকে আসামী করে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শশীভূষণ থানার অফিসার ইন চার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার ভিক্টিম কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভোলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। ধর্ষক মো. রুবেল শশীভূষণ থানার উত্তর চর আইচা গ্রামের মৃত মোফাজ্জলের ছেলে। ভিক্টমের ভাইয়ের দায়ের করা মামলার আর্জি সুত্রে জানাযায়, তার ছোটাবোন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
বছর কয়েক ধরে বিদ্যালয় এবং বাড়ির পাশের নলকূপ থেকে পানি আনার জন্য আসা যাওয়ার পথে প্রতিবেশী যুবক রুবেল তার ছোটবোন ভিক্টিমকে উত্যক্ত করে আসছিল। এভাবে দীর্ঘদিন উত্ত্যক্ত করার পর যুবক রুবেল তাকে প্রেম প্রস্তাব দেয়। এতে কিশোরী বোন রুবেলের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিাশোরী ভিক্টিমের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী যুবক রুবেল তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গোপনে তার সাথে অনৈতিক দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত ২৫ মে রাত ৮টার সময় প্রেমিক রুবেল বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করার কথা বলে প্রেমিকা কিশোরীকে বাড়ির পেছনের খালপাড়ে ডেকে নেয়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে প্রেমিক রুবেল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। রুবেলের অভিভাবকরা আলোচনার মাধ্যমে দু’জনের বিয়ের আয়োজন করার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। কিন্ত ঘটনার পর ধর্ষক রুবেলের অভিভাবকরাও বিয়েতে তাদের অসম্মতির কথা জানিয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতার বড়ভাই ২৩ মে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। শশীভূষণ থানার অফিসার ইন চার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রোববার ভিক্টিম কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য ভোলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply