আসাদুল ইসলাম
গত ১৮ আগষ্ট ২০১৮ইং কুমিল্লা ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা ৩নং পৌর ওয়ার্ডে যুবলীগের সহ-সাধারন সম্পাদক মইনুল হাসানকে দূর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে হত্যা করে। যাহার পর দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে অনিষ্পত্তি চলামান থাকার পর গত ৫ই এপ্রিল ২০২১ইং বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ আদালত এজলাশ নং-৩,কুমিল্লা,মােট ১৮জন অভিযুক্ত পলাতক আসামীকে দোষী মানিয়া কঠোর সাজায় দন্ডিত ঘােষীত করেন।উল্লেখ্য বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ-মােঃ ইমদাদুল হােসেন তালুকদার,মামলার ১৮ জন আসামী ১।মােঃ সাকির আলী, পিং-মােনায়েম আলী,২।শরিফুল হক,পিং-সামসুল হক,৩। মুখলেছ হােসেন,পিং-শাহ আলম,৪। মােঃ আরমান,পিং-মৃত মােঃনজরুল, ৫। আদিল হাসান,পিং-মুশারফ মিয়া,৬। মােঃরাইসল,পিং-আদম হােসেন,৭। ইমােন হাবিব,পিং-আব্দুল খালেক, ৮। মােঃ সমশের,পিং-মােঃ মইনুল হক,৯।ফরহাদ আহমেদ, পিং-আসলাম উদ্দিন,১০।ফিরােজ মল্লিক,পিং-রুস্তম মল্লিক, ১১। আরিফ ভুইয়া,পিং-মালেক ভূঁইয়া, ১২। বিলাল হােসেন,পিং-মৃত মােঃ আব্দুর রহিম, ১৩। সুমন আহমেদ,পিং-মুজিব আহমেদ, ১৪। মােঃ হারুন,পিং-মৃত মােঃ আইউব,১৫। তাইমুর আলম,পিং-জাহাঙ্গীর চৌধুরী,১৬।ইসমাইল খন্দকার পিং-হাজী নবিউল খন্দকার ,১৭ মােঃ জুম্মন আলী,পিং-হাজী মােঃ লুৎফর আলী,১৮ মিজান শিকদার ,পিং-হাফিজ উদ্দিন শিকদারকে উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমানে দোষী সাব্যস্তর মাধ্যমে প্রতিজনকে ১৪ বৎসর সশ্রম কাড়াদন্ড ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯মাসের সাজা ঘােষীত করেন। অভিযােগ প্রসংগে জানাযায় যে-উক্ত সন্ধায় বাগড়া স্কুল মাঠে আওয়ামীলীগ দলীয় অভ্যন্তরিন মিটিং চলাকালিন রাজনৈতীক প্রতিহিংশা/ দলীয় শক্রতার প্রতিশােধ পরায়ন হয়ে আসামীরা সুযােগ মােতাবেক বিভিন্ন ধারালাে হাতিয়ার দ্বারা অতর্কিত আক্রমন চালায়।ঘটনা স্থলে ৬/৭জনকে ধারালাে হাতিয়ারে গুরুতর আহত করলে চিকিৎসারত মাইনুল হাসান ৭২ঘন্টার পর সদর হাসপাতালে মৃত্যু হয় এবং প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপি ও জামায়েত শিবিরের ২৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ১১জনকে গ্রেফতার করেন এবং তদন্ত অফিসার এজাহার ভুক্ত ২৭জন আসামীর মধ্যে ১৮জনকে দোষী চিহ্নিত করে আদালতে অভিযােপত্র দাখিল করেন। এই নির্মম হত্যার বিষয় আমাদের প্রতিনিধি এলাকায় অনুসন্ধানে জানতে পারেন যে-যুবলীগের অভন্তরীক ক্ষমতার ক্রন্দলকে কেন্দ্র করে সেই সন্ধায় নিজেদের দুই গ্রুপে সংঘর্সে হত্যাযজ্ঞ সংঘঠিত হয় এবং বাদী স্বয়ং এই হত্যার মাষ্টার মাইন্ড। কিন্তু বাদীপক্ষ দলীয় সুবিধার্থে ২০১৮ইং আসন্য ১১তম সংসদ নির্বাচনের প্রতি অসৎ দৃষ্টিচারন করে প্রতিপক্ষ বিরােধী দলকে নির্বাচনে নিঃস্কৃয় রাখার লক্ষে সুপরিকল্পীত বিএনপি ও জামায়েত শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলে এলাকাবাসি ও আসামীদের পরিবার দাবী করছে। তাহারা আরও দাবী করে-এই হত্যা মামলার পর পুনরায় আরও একাধীক ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে সকল নিরিহ আসামীদের গৃহ ও এলাকা ত্যাগে বাধ্য করেছে এবং পলাতক ২জন নিরিহ আসামী বিএনপির মােঃ সমশের ও জামায়েতের মৌলানা ইছাককে বােয়ার্ড ফোর্স ভারত বাংলা সিমান্ত এলাকায় ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। এই বিচারের রায়টি আদালতে আইনজীবি পরিষদ এবং এলাকায় আসামী পরিবার ও এলাকাবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সুষ্টি ঘটিয়েছে।
Leave a Reply