শাহরিয়ার মাসুম
গত ৮ই মার্চ ২০২০ইং বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ আদালত,মুন্সিগঞ্জ, লৌহজং উপজেলা গাওঁদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মােঃ হামিদ ফকিরের পূত্র ছাত্রলীগ নেতা মােঃ হারুন ফকির (২৮)এর হত্যা মামলার বিচারের রায় অতিরিক্ত দায়রা জজ মােঃ মুজাফফর আহমেদের ৩নং এজলাশে ঘােষীত হয়। আদালতের মার্ফৎ জানা যায় যে-গত ১৬/০১/১৯ইং ভাের রাতে ভিকটিম হারুনকে তাহার বন্ধুরা ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রতিশােধ হিসাবে পরিকল্পীত অতিরিক্ত মাদক সেবনের পর ৪ তলা ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। এই অভিযােগ প্রসঙ্গে এলাকায় খােজখবর নিয়ে জানাযায় যে-ভিকটিম মােঃ হারুন হরগঙ্গা কলেজে নামধারী ছাত্র ও ছাত্রলীগের নেতা ছিল এবং মাদকাশক্ত সন্ত্রাসী হিসাবে এলাকাবাসির কাছে পরিচিত। আরাে জানাযায় যে,উক্ত রাতে গাওঁদিয়া বাজার সংলগ্ন বাছির মােল্লার নির্মানাধীন ৪তলা ভবনে মােঃ হারুন ৩/৪জন মাদকাশক্ত বন্ধুরা জোরদবস্ত ভবনের চিলকোঠায় মাদক সেবন ও জুয়া খেলার সময় উভয়ের মধ্যে মারামারি সংঘঠিত হলে অন্ধকারে কাহারাে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা বা দূর্ঘটনা মুলক হারুন রেলিং বিহীন ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে যায় এবং ঘটনা স্থলে মৃত্যু ঘটে কিন্তু রাজনৈতীক প্রভাবশালী হারুনের পিতা সেই রাতে ছেলের ৩জন বন্ধু ১।মােঃ জাহিদ হােসেন (৩০),পিং-আমির হােসেন বেপাড়ী,২। মােঃ জাকির (৩৩),পিং-মৃত মােঃ রহিম উদ্দিন,৩। মােঃ ওয়াসিম হােসেন (৩০),পিং-আব্দুর রাজ্জাক খলিফাকে হত্যাকারি চিহ্নিত করে থানায় মামলা করেন। থানায় যােগাযােগে জানাযায় যে-পুলিশ আসামীদের সহজে গ্রেফতার ও স্বীকার উক্তি মােতাবেক জেলে বন্দি করে এবং যথেষ্ট প্রমাণীদি সহ আদালতে তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু আসামীরা জামিন লাভেরপর থেকেই পালিয়ে যায় এবং যাহার ফলে তাহাদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারকার্য দ্রুত ন্যায় পরায়ন ভাবে সমাপ্ত ও প্রতিজনকে দোষী সাব্যস্থর মাধ্যমে যাবৎ জীবন সশ্রম কাড়াদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়। আসামী জাহিদ ও জাকির অভিবাগক জানায় যে,ভিকটিম হারুন পিতার দলীয় প্রভাবে এলাকায় মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে অনেক যুবককে বিপথগামী করেছে এবং এই হত্যাকন্ডটি সম্পূর্ন দূর্ঘটনা জনক ও ভিকটিমের নিজের দোষেই ঘটিয়েছে বলে তাহারা দাবী করেন। তাহারা আরও দাবী করেন যে-এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযােগের উপর ভিত্তিকরে আইন প্রশাসনের লােকজন ও প্রভাব শালী বাদী তাহাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বিধায় তাহারা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীন জীবন যাপন করছে। বর্তমানে সাজাঘােষীত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারী প্রক্রিয়া চলমান আছে।
Leave a Reply