রাশেদুল ইসলাম
পটুয়াখালীঃ বাউফল চরনিমদি গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হাজির বাশঁঝাড়ের মধ্যে অজ্ঞাত গনকবর থেকে গত ১৫ই এপ্রিল ২০১৯ইং সকালে এলাকাবাসি ৩টি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে বলে জানাযায়।বিষয়টি গ্রামবাসি বাউফল থানাকে অবগত করলে এস.পির আদেশে অভিযান কর্মকর্তা এস.আই.মোঃ মোশারফ অধিনস্থ্য সঙ্গিদের নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং রাষ্ট্রীয় গোপনিও আইনি কার্যক্রমের অজুহাত দেখিয়ে গ্রামবাসিদের সেখান থেকে ভাগিয়ে দেয়।বিভিন্ন সংবাদ ও প্রচার মাধ্যম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ বিষয়টি তদন্তনাধীন এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নিষেদাজ্ঞার বিষয় উল্লেখ করে সবাইকে ফিরিয়ে দেয়। প্রতিনিধি গ্রামবাসিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-আনুমানিক ২০১৪ সালে এক বৃষ্টির রাতে সিভিল পোষাক ধারী র্যাবও পুলিশ দেলোয়ার হোসেন ও হারিস মিয়া নামে ২জনকে দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাশঁঝাড়ের মধ্যে কবর খুড়ে ৩টি লাশ পুতে রাখে।পুলিশ তাহাদের বিশেষ সাবধানসহ বিষয়টি সর্ম্পূন গোপন রাখতে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও কিছু অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু গত ১৪/০৪/১৯ইং রাতে দেলোয়ার দীর্ঘ গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় মৃত্যুর পূর্বে এই নির্মম সত্য বয়ানটি ৩টি ভিকটিম পরিবারকে গনকবরের সন্ধান ও ক্ষমা প্রার্থনার বিষয় জানানোর জন্য স্ত্রী পূত্রকে অনুরোধ করেছিলেন। যাহার ফলে প্রতিনিধি ভিকটিম পরিবার ও তাহাদের মাধ্যমে বাস্তবতা জানতে পারে যে-বাউফল নুরীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মৌলানা ইমদাত হোসেন(৫৬),পিং-মৃত মোঃবখতিয়ার হোসেন,জামায়েত নেতাকে গত ১১/০৪/১৪ইং সন্ধায় মাদ্রাসা থেকে ডিবি পুলিশ অপহরন করে এবং চন্দ্রদীপ গ্রামের সৈয়দ হালিম উদ্দিন(৪৫ ),পিং-মৃত হাজী সৈয়দ গোলাম,জামায়েত নেতাকে গত ১৩/০৪/১৪ ইং সন্ধায় বাজার থেকে ডিবি পুলিশ অপহরন করে ও নাজিরপুর ইউনিয়নের মোঃ হাফিজুর রহমান(৪২),পিং-মৃত মোঃআব্দুল মান্নান বিএনপি যুবদল নেতাকে গত ১৯/০৪/১৪ইং দুপুরে নিজ বাড়ী থেকে অপহরন করা হয়।পরবর্তিতে প্রতিনিধি ঘটনার বিষয় বাউফল থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ এবিষয় কোন তথ্য জানাতে সর্ম্পূন অসম্মতী জানায় এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জনিত গোপন বিষয় হস্তক্ষেপ বা নাক গলাতে সাবধান করেন।প্রতিনিধি গোপনে ভিকটিম পরিবারে যোগাযোগে জানতে পারে যে- অপহরনের পর পরিবারবর্গ থানায় অভিযোগ জানায় কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্বপালনে অনিহা ও গাফিলতি করে বিধায় তাহাদের ধারনা যে-সরকারী নির্দেশনায় অপহরন ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে।ভিকটিম পরিবার অত্যন্ত হৃদয় বিদারক কান্নায় নিমজ্জিত হয়ে আহাজারী করে যে-এতোদিন পর ভিকটিমদের মৃত দেহের সন্ধান পেয়েও আইন প্রশাসন কঙ্কাল গুলী ধর্মীয় রেওয়াজে সমাধীত করতে হস্থান্তর করছেন না।উপরন্ত ভিকটিমদের প্রতি বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে তদন্তের অজুহাত দেখিয়ে থানা থেকে তাহাদের অপমান ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিতারীত করছে।
Leave a Reply