সাদেক হোসেন
মুছাপুর ইউনিয়নাধীন ত্রিবেনী গ্রামের বাসিন্দা ও প্রবাসী মােঃ নয়ন চৌধুরীর কিশােরী কন্যা মিস্-নুসরাত চৌধুরী বয়স ১৩/১৪বৎসর ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী গত১৯শে জানুয়ারী ২০২১ইং ভােররাতে গলায় ফাস নিয়ে আত্নহত্যা করেছে। এই কিশােরীর অকাল মৃত্যু ও আত্নহত্যা ঘটনাটি এলাকাবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা ও প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। প্রতিনিধি এই অপমৃত্যু/ আত্নহত্যার সত্যতা জানার জন্য বন্দর থানায় যােগাযােগ করলে লাশের সুরতেহাল পরিদর্শক এস,আই, হাফিজুর এবং ও/সি বিষয়টিকে প্রেম ঘটিত আক্ষায়িত করেন এবং থানার ওসি আরাে ব্যক্ত করেন যে-নুসরাত আত্নহত্যার ২দিন পূর্বে পরিবারকে না জানিয়ে তাহার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে যায় হয়ত ছেলের পরিবার বা বয়সের কারনে কোনভাবে সামাজীক সমর্থন বা স্বীকৃতি না পাওয়াতে মানুষিক বিপর্যস্ত হয়ে গৃহে ফিরে আসে এবং আত্নহত্যার পথবেছে নেয়।প্রতিনিধি এই ঘটনার প্রসঙ্গে মৃত নুসরাতের পরিবারও নিকটতম আত্নিয় /প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে সম্পূর্ন বিপরীত বাস্তবতা জানতে পারে যাহা আইন সংস্থার বক্তব্য/বিবরনের সাথে কোন সম্পৃত্বতা প্রতিয়মান হয়না । নুসরাতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহতভাবে ব্যক্ত করেন যে-এলাকায় রাজনৈতীক প্রভাবশালী মহলের সাথে নুসরাতের পিতার দীর্ঘ দিনের শত্রুতা বিরাজমান এবং পিতা নয়ন চৌধুরী প্রবাশে আত্নগােপনে থাকায় প্রতিপক্ষরা নুসরাতকে ১৭ই জানুয়ারী অপহরন ও ৫লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে কিন্তু নুসরাত পরিবার অক্ষমতা জানালে অপহরনকারীরা নুসরাতকে নির্মম পাষাবীক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৮ই জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় গুরুতর অবস্থায় গৃহের দর্জায় ফেলে যায়। আত্বীয় প্রতিবেশীরা নুসরাতকে গুরুতর আহত ও আতঙ্কিত/ভীতগ্রস্থ মমূর্ণ অবস্থায় দেখতে পায় এবং অপহরন,নির্যাতন ইত্যাদি বিষয় জানার চেষ্টাসহ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে নুসরাত সকালে ডাক্তার দেখানাের ইচ্ছা জানিয়ে সব প্রশ্ন থেকে নিজেকে আড়ালে রাখে। কিন্তু তাহার উপর বর্বর নির্যাতন ও মনের অপুরােনীয় ক্ষত যন্ত্রনা/ক্ষোভ কাউকে না জানিয়ে নুসরাত আত্নদহনের শিকার হয়ে ভােররাতে সবার অজান্তে সিলিং ফেনে গলায় ফার্স ঝুলিয়ে আত্নহত্যা করে। প্রতিবেশী ও পরিবারে শােকাহত সদস্যরা আরাে ব্যক্তকরে যে-ভােরে পুলিশ ফোর্স গৃহথেকে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়নগঞ্জ সরকারী সদর হাসপাতালে উপস্থিত করলে কর্তব্যরত ডাক্তার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। কিন্তু হঠাৎ কিছু প্রভাবশালী চক্রর পরিকল্পীত হস্থ্যক্ষেপে নুসরাত পরিবারের সামাজীক মানসম্মান ও ধর্মীয় রেওয়াজের অজুহাত দেখিয়ে পুলিশের আদেশে ময়না তদন্ত বন্ধ রেখে শুধু আত্নহত্যা জনিত মৃত্যু প্রত্যয়নপত্র ইসুকরায় এবং সেই দুপুরেই চাপের মূখে নুসরাতের দাফন কাফন দ্রুত সম্পাদন কারা হয়।মৃত ভিকটিম পরিবার পুলিশকে নুসরাতের আত্নহত্যা ও দেহের গুপ্তাঙ্গে ক্ষতবিক্ষত রক্তর চিহ্ন গুলী উল্লেখ করে মামলা গ্রহনের অনুরােধ জানায় কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ অভিযােগ গ্রহন না করে উল্টা নুসরাতের চরিত্রের উপর মানহানিকর অভিযােগ চাপিয়ে পরিবারকে ভয়ভীতি ও অপমান করে গ্রামীন শালিসের উপদেশ জানায়। আমাদের প্রতিনিধি উভয় পক্ষের সাথে যােগাযােগ বজায় রেখে নিশ্চিত করেন যে-এখনাে বন্দর থানা পুলিশ এই আত্নহত্যার কোন সঠিক সুরাহায় পৌছতে পারে নাই বিধায় থানার খতিয়ানে শুধু আত্নহত্যা জনিত অপমৃত্যু ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply