আমাদের প্রতিনিধি শর্শদী ইউনিয়ন ফেনী থেকে প্রেরীত সংবাদঃ গত ৪ঠা জানুয়ারী ২০২১ইং টেকনাফে র্যাব-১৫ কর্মরত লেন্স নায়েক তরিকুল ইসলামের সড়ক দূর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুটি তাহার পরিবার ও এলাকায় চরম শোকের ছায়া ও সন্দেহের সৃষ্টি ঘটায় এবং ভিকটিমের পিতা প্রাক্তন বিজিবি সদস্য এই দূর্ঘটনাটিকে পরিকল্পীত হত্যা হিসাবে দাবী করছেন। আমাদের প্রতিনিধি ভিকটিমের অভিভাবকের সাথে সাক্ষাতে জানতে পারে যে-দূর্ঘটনার পূর্বে র্যাব অফিসার এস.আই.কাউসার আহমেদ ভিকটিম তরিকুল ইসলামকে এই প্রথম মটোর বাইকেলের পিছে বসিয়ে নিজে ড্রাইভ করে অভিযানে যাওয়ার পথে পিছ থেকে ঘাতক ট্রাক ধাক্কা দিলে তরিকুল রাস্তায় পড়ে যায় ও চলন্ত ট্রাক উপরদিয়ে চাপাদেয়। কিন্তু বাইক চালক এস.আই. কাউসার রাস্তার পাশে উল্টেপরলেও তিনি তেমন কোন গুরুতর আঘাৎ পায় নাই।ভিকটিমের পিতা বিজিবি প্রাক্তন সদস্য কাজী নুরুল আমিনের কাছে দূর্ঘটনার বিষয়গুলী সন্দেহর সৃষ্টি ঘটালে তিনি নিজ উদ্দোগে গোপনে অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারেন যে-এস.আই.কাউসার কখনো তরিকুলের উপস্থিতিতে মোটর বাইক চালায় নাই কিন্তু ঘটনার দিন তিনি ইচ্ছাকৃত কেন মটোরবাইক চালিয়েছিল-বিষয়টি সন্দেহের প্রবনতা সৃষ্টি ঘটায়? ভিকটিমের পিতা মাতা ক্রন্দনরত আরো ব্যক্তকরেন যে-তাহার ছেলে এনকাউন্টার/ক্রসফায়ারে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ থেকে তাহাকে বিরত রাখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল।ফলে এরপর থেকে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য প্রায় বিভিন্ন ভাবে তাহাদের পরিবারের প্রতি নজরদারীসহ কাজী নুরুল আমিনকে এনএসআই ও ডিজিএফআই কার্যালয়ে বন্দিকরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ভয়ভীতিকর নির্যাতন চালানো হয়।প্রতিনিধি এলাকাবাসিকে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয় যে-গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ সদস্য প্রতিনিয়ত ভিকটিম পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে কঠোর নজরদারী চালিয়ে আসছে বিধায় প্রতিবেশীরা র্যাব সদস্য তরিকুলের মৃত্যুটি পরিকল্পীত হত্যাকান্ড মনে করেন। প্রতিনিধি পুলিশের উচ্চ মহলে যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারেন যে-ভিকটিম তরিকুল সিনিয়র অফিসার কাউসারের সাথে মাদক বিরোধী অভিযানে টেকনাফ হোয়াক্যং ক্যাম্প থেকে উখিয়ায় উদ্দেশ্যে মটোর বাইকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয় এবং এটা সর্ম্পুন দূর্ঘটনা জনক মৃত্যু দাবি করে পুলিশ বাদী টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply