শাহরিয়ার মাসুম
মনােহরদী উপজেলা লেবুতলা ইউনিয়ন চরহাজিখা গ্রামের বাসিন্দা স্কুল মাষ্টার মােঃ আবুল হাসেমের উপর আক্রমন ও নির্মম নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর অভিযােগ জানাযায়। ঘটনা প্রসংগে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় যে-প্রতিপক্ষ পার্শবর্তি কাচিকাটা ইউনিয়ন বড়মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী নেতা আলিমন মিয়ার সাথে পারিবারীক শত্রুতার কারনে গত ২৪/১০/২১ ইং রাত ৯/১০ঘটিকায় মাষ্টার মােঃ আবুল হাসেম বাজার থেকে গৃহে ফেরার পথে ৪/৫জন দূর্বৃত্ত আক্রমন ও নির্মভাবে মারধর/পিটিয়ে তাহার হাত পা ভেঙ্গে জ্ঞানহীন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। সেই রাতে পথচারীরা ভিকটিমকে জ্ঞানহী রক্তাত্ত্ব অবস্থায় উদ্ধারসহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনি মুমূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ।এই ঘটনার উৎপত্তির বিষয় এলাকাবাসির মাধ্যমে জানাযায় যে-আলিমন মিয়া সম্পর্কে ভিকটিম মাষ্টারের পূত্রের শশুর ও একে-অপরে বিআই এবং উভয়ের ছেলে মেয়ে পিতা মাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালিয়ে গােপনে বিবাহ করার কারনে এই শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এমনকি কনের পিতা আলিমন মিয়া সরকার দলীয় বিত্তশালী নেতা হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষ বিএনপি সমর্থীত পরিবার পূত্রের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করাতে বর ও কনে নিরাপত্তা কারনে পালিয়ে আত্নগােপনে আছে। কনের পিতা সাক্ষাতে দাবী করেন যে-মাষ্টার আবুল হাসেমের পূত্র তাহার কন্যা মাছুমা আক্তারকে দীর্ঘদিন বিভিন্নভাবে উক্তত্ব/বিরক্ত করাতে তিনি বাধ্য হয়ে মেয়ের বিবাহ অন্যত্র ঠিক করেন। কিন্তু মাষ্টার পূত্র শিহাব উদ্দিন সংবাদ শুনার পর আগের রাতে পিতা মাতার উস্কানিতে কাউকে দিয়ে মাছুমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে গৃহ থেকে বাহির ও অন্ত্রের মূখে অপহরন করে পালিয়ে যায় এবং আজপর্যন্ত কন্যা জীবিত /মৃত কোন সংবাদ জানেনা। এ বিষয় ভিকটিম পরিবার ও প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-শাহ শিহাব উদ্দিন পেশাগত উচ্চ শিক্ষিত প্রকৌশুলী এবং কন্যার পিতা বিএনপি সমর্থীত পরিবারে মেয়ে বিয়ে দিতে সম্পূর্ন নারাজ বিধায় তাহারা দুজনে ভালােবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাধ্যতা মুলক গােপনে বিবাহ সম্পাদন ও নিরাপত্তা জনিত কারনে অন্যত্র আত্নগােপনে আছে।এই ঘটনার পর থেকে মাষ্টার পরিবার আলিমন মিয়ার সাথে সমঝতার চেষ্টা চালায় কিন্তু আলিমন মিয়া বরাবর প্রত্যাক্ষান ও ভয়ভীতি হুমকি/ধামকি,হামলা নির্যাতন চালানাের ফলে ভিকটিম মাষ্টার বাধ্যহয়ে তাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিধায় আলিমন মিয়া ক্ষিপ্তহয়ে উক্ত রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে মাষ্টারের উপর আক্রমন চালায়।এই বিষয় মনােহরদি থানায় যােগাযােগে জানাযায় যে-ঘটনাটির বিষয় পুলিশ তদন্তে নিয়ােজীত আছে এবং উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে থানায় মামলা গ্রহন করা হবে কিন্তু এই সংবাদ প্রচার হওয়া পর্যন্ত কোন অপরাধীকে গ্রেফতার বা থানায় মামলা রুজু হয় নাই।
Leave a Reply