আমাদের প্রতিনিধির প্রেরিত সংবাদ-
কিশােরগঞ্জ,কুলিয়ারচর উপজেলা বড়খারচর গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী নেতা প্রাক্তন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মােঃজিলুর রহমান(৫২) কে গত ১৮ইং আগষ্ট ২০২১ইং বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা নোয়াকান্দি ৩নং ওয়ার্ডের নির্জন রাস্তায় গুলিকরে হত্যা করে। এই হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে-সেইরাতে ভিকটিমের বিধবা স্ত্রী রুমানা রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক থানার ওসি বাদী হয়ে সন্দেহ ভাজন বিরােধী দলীয় ৩জন নেতার নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা রুজু করেন। কিন্তু পরদিন সন্ধায় পুলিশ বিশ্বস্থ সাের্স হত্যায় ব্যবহৃত গুলি ভর্তি আগ্নে অস্ত্রটি পূর্ব গাইলকাটা গ্রামে ঘােষপাড়া ৪নং ওয়ার্ডে মৃত শ্রী বিশ্বজিৎ ঘােষের কাচারি ঘরের মাচা থেকে উদ্ধারপর সন্দেহ ভাজন আরাে ৬জনকে মামলায় অন্তর্ভুক্তসহ বিভিন্ন সময়/স্থান থেকে ৪জনকে গ্রেফতার করেন। আসামীদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ও সার্বিক তদন্তর মাধ্যমে আই/ও এস.আই.মােতালেব হাজতী ও পলাতক মােট ৭জনকে সম্মনয় অভিযুক্ত অপরাধী চিহ্নিত করে গত ৮ই জুন ২০২২ইং বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযােগপত্র দাখিল করেন।এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার নিশ্চিত করেন যে-এই হত্যাকান্ডটি সম্পূর্ন দলীয় প্রভাব বিস্তার কেন্দ্রীক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মুলক সুপরিকল্পীত সংঘঠিত হয়েছে বলিয়া তিনি স্বাক্ষী প্রমাণে দাবী করে। তিনি এই হত্যাকান্ডে পলাতক ১। মিরাজ আহমেদ,পিং-হাজী মুসা আহমেদ, উপজেলা বিএনপির যুবদলের সাধারন সম্পাদককে মূখ্য হুকুমের আসামি চিহ্নিতসহ হাজতী ২। মােঃ ইবাদত উল্লাহ,পিং-মৃত শরাফৎ উল্লাহ,বিএনপি সহ-সভাপতি,হাজতী, ৩। হাসিম উদ্দিন,পিং-মুসলিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক যুবদল,হাজতী ৪। মাখন বিশ্বাস,পিং- কোমল বিশ্বাস,সহ-সভাপতি যুবদল, পলাতক ৫। দ্বীপ্ত ঘােষ,পিং-মৃত বিশ্বজিৎ ঘােষ,ছাত্রদল সদস্য,পলাতক ৬। রেজওয়ান মানিক,পিং-আবুল হােসেন,ছাত্রদল সদস্য,হাজতী ৭।তানভীর ইসলাম,পিং-মােকবুল হােসেন,যুগ্ন সম্পাদক, ছাত্রদলকে এই হত্যার সম্মনয় অপরাধী চিহ্নিত/অভিযুক্ত করেন। আই/ওর বক্তব্য ও প্রতিবেদনে হত্যাকান্ড অভিযােগটি প্রতিনিধির সন্দেহ সৃষ্টি হলে তিনি রহষ্য উদঘাটনে লক্ষে গােপনে তদন্তর মাধ্যমে আসামীদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয় যে-ভিকটিম জিলুর রহমান মূলত নিজ দলীয় অভ্যন্তরিন কোন্দলের শিকার হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছার ষড়যন্ত্রে তাহাকে হত্যা করা হয়। যাহার দায়ভার সম্পূর্ন সুপরিকল্পীত চক্রান্ত মুলকভাবে বিরােধী দলীয় নেতাকর্মির উপর চাপিয়ে অনৈতীক হয়রানি ও নির্যাতন চালানাে হচ্ছে। এই ঘটনার গভীর অনুসন্ধান আরাে নিশ্চিত হয় যে-সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা ওরফে জিসান এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহারে দলীয় ভাবমূর্তি চরম ক্ষুন্ন হয় বিধায় ভিকটিম জিলুর রহমান তাহাকে বাধা দেওয়াতে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ শত্রুতা শুরু হয়। এমনকি সভাপতি ইমতিয়াজ আগামীতে দলীয় নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা প্রতিফলিত হওয়াতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পথের কাটা হিসাবে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত করেছে।এই বাস্তবতার বিষয় এলাকাবাসি জীবনের নিরাপত্ত জনিত কারনে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার সত্যতা বা ব্যক্তি মতামত/বয়ান প্রকাশে অনিচ্ছুক।
Leave a Reply