সিরাজাম মনিরাঃ
আজ ১৫ ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছন ১০০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ তার সাথে সকল শহিদদের জন্য দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শোকের মধ্যে দিয়ে তবারক হিসেবে ৭০০ জন অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আদাবর থানার নেতারা। এসময় আদাবর থানা ১০০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাকি সকল খুনিদের দেশে এনে তাদের ফাসির রায় কার্যকর করা হউক।তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাসির রায় কার্যকর হলে তার আত্তায় শান্তি পাবে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। বাঙালীর মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর। মুজিব আদর্শে শানিত বাংলার আকাশ-বাতাস, জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল,মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
Leave a Reply