আমাদের সংবাদদাতা-
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন বড়ই চড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্ৰী চিত্তরঞ্জন শাহা (৭৪)কে গত ৯ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং রাতে দূর্বৃত্তদের নির্মম নির্যাতনে হত্যার অভিযােগ জানাযায়। প্রতিনিধি গ্রামবাসিকে জীজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে-বলড়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মােঃ তারেক খানের সাথে চিত্তরঞ্জন শাহার দীর্ঘদিনের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরােধের কারনে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ সংঘঠিত হয়েছে। আবার ভিকটিম চিত্তরঞ্জনের প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানাযায় যে-চেয়ারম্যানের পূত্র মােঃরাকিব খানের সাথে চিত্তরঞ্জনের কন্যা কলেজ ছাত্রী সুবর্না শাহা(২৪) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় চিত্তরঞ্জন শাহা সনাতন ধর্মীয় বিধি-নিষেধাজ্ঞার কারনে উভয়ের ভলােবাসার প্রতি বাধা দেওয়াতে এইহত্যা সংঘঠিত হয়েছে। সংবাদ প্রতিনিধি মৃত ভিকটিমের কুমারী কন্যা সুবর্না শাহার সাথে দেখা করতে চাইলে নিকটতম ২জন প্রতিবেশী(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)অবগত করেন-এই হত্যার মূলহতা চেয়ারম্যানের পূত্র মােঃ রাকিব খান। তাহারা জানায় যে-মােঃ রাকিব এলাকায় দূঃস্কৃতিকারী এবং পিতার অনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে প্রতিনিয়ত গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িয়ে গত১৬ইডিসেম্বর ২১ইং রাতে সুবর্নাকে পাশাবীক নির্যাতনসহ তাহার মা শেফালী রানী কে শাসরুদ্ধর মাধ্যমে হত্যা করে। এই অপরাধের জন্য রাকিবের বিরুদ্ধে থানায় যৌথ মােকাদ্দমা চলমান বিধায় আসামী মামলা প্রত্যাহার করাতে চিত্তরঞ্জন ও সুবর্নাকে ভয়ভীতিকর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু চিত্তরঞ্জন ও কন্যা মামলা প্রত্যাহারে অসম্মতি জানালে ঐ রাতে তাহাকে হত্যা করা হয় এবং সুবর্নাকে হত্যার লক্ষে সর্বত্র তল্লাসি ও হামলার কারনে সুবর্না জীবনের নিরাপত্তার জন্য আত্নগােপনে আছে। প্রতিনিধি থানায় যােগাযােগ করলে কর্তব্যরত পুলিশ নিশ্চিত করেন যে-সন্দেহাতীত মােঃরাকিবসহ ১০জনের বিরুদ্ধে সুবর্না শাহা থানায় মামলা রুজু করেছেন এবং আসামীদের প্রতি আইনি ব্যবস্থা চলমান তবে এখনাে কোন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেন নাই। বর্তমানে আইন সংস্থা পলাতকদের গ্রেফতার করতে সর্বত্র কঠোর তল্লাসি চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply