আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুল হক মামুন (৩৩)কে গত ২রা জুলাই ২০২১ ইং রাতে ১৪/১৫জন দুর্বৃত্তরা কার্যালয়ের সামনে ও জনসম্মুখে নির্মম পিটিয়ে/কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ জানাযায় এবং এই হত্যাকান্ড প্রতিহত করতে গিয়ে ছাত্র ও যুবলীগ সদস্য ১। ইব্রাহিম ভুঞা(২৮),২।তমিজ উদ্দিন(৩৫),৩।ইমোন হাবিব (২৪),৪।রাজন মোল্লা (৩০),৫।সজন আলীগন গুরুত আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রতিনিধি প্রত্যক্ষদর্শীদের জীজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে-রাজনৈতীক শত্রুতার কারনে বিএনপি ও জামায়েত শিবির সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের কিছু বিদ্রোহ মাসক্স পরিহিত সদস্যদের সহযোগীতায় ৫টি মটোর বাইকে চাটখিল আওয়ামীলীগ কার্যালয় উপস্থিত হয়ে মামুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমতাবস্তায় মামুন কার্যায় রাস্তার সামনে উপস্থিত হলে উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনাকর বাকবিতন্ড থেকে একপর্যায় দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হাতিয়ার দ্বারা মামুনকে এলোপাথারী মারতে থাকলে উক্ত সঙ্গিরা তাহাকে বাচাতে এগিয়ে আসে কিন্তু দূর্বৃত্তরা তাহাদেরকেও নির্মম ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন মামুনসহ আহতদের তাৎখনিক চাটখিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে ভর্তি করলে রক্তাত্ত জ্ঞানহীন মামুন অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে চিকিৎসারত কিছুক্ষনের মধ্যে মৃত্যু বরন করে।
মামুনের মৃত্যুর ঘটনাটি এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি ঘটালে পুলিশ ফোর্স উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয় এবং আইনি কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এই নির্মম হত্যাকান্ডর উৎপত্তির বিষয় চাটখিল উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় নেতাকর্মি ও এলাকাবাসিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন। তবে মৃত ভিকটিমের বড়ভাই মামলার বাদী যুবলীগ নেতা মোঃজসিম উদ্দিন নিশ্চিত দাবী করেন যে, আসামীরা রাজনৈতীক দলীয় অনৈতীক প্রভাবে চাদাঁবাজি ও বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের প্রয়াস চালালে ভিকটিম মামুন তাহাদের বিরুদ্ধে কঠোর বাধা ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কারনে এই হত্যা সংঘঠিত হয়েছে। তিনি আরো নিশ্চিতভাবে দাবী করেন যে -আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন ক্রন্দলে জড়িত কিছু অসৎ ছাত্র ও যুবলীগ নেতা কর্মিদের বেঈমানির কারনে প্রতিপক্ষ বিএনপি জামায়েতের দূঃস্কৃতিকারীরা এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করছে। এই হত্যা বিরুদ্ধে বাদী প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে ১৩জনকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকারী চিহ্নিত করে গত ৩/০৭/২১ইং সন্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আইন সংস্থা এখন পর্যন্ত ৪জনকে বন্দি করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৪জনের পরিচয় ।
মোঃরব্বানি,পিং-মৃত হেমায়েত মিয়া, সাং- খিলপাড়া, ২। রফিক উল্লাহ,পিং-খায়ের উল্লাহ, সাং-কলেজ পাড়া, ৫। তারিকুল সাওন, পিং-মমিন মাষ্টার, সাং-নন্দীপাড়া, ৬ ।জাভেদ আলী মুন্না,পিং-মুজাম্মেল খন্দকার,সাং-কল্যানপুরগন ৭২ঘন্টা থানার রিমান্ডে অবস্থান করছে। বাকি পলাতক ৯জন আসামীগং ৩। তাহের ভুইঁয়া,পিং-সাত্তার ভুইঁয়া,সাং-জুনুদপুর বাজা, ৪।শামীম হোসেন, পিং- খোরশেদ আলম,সাং-শ্রীপুর, ৭। মোনির খান, পিং-নুর এ আলম, সাং-শ্রীপুর, ৮।শাকিল আহমেদ, পিং-কাউসার আহমেদ, সাং-বৈকুণ্ঠপুর, ৯। মোঃসুমন হোসেন, পিং-নুরুল আমিন, সাং-দক্ষিন শ্রীপুর, ১০।নুরুল ইসলাম রবি, পিং-মৃত আসলাম ফকির, সাং-সুধারামী, ১১। আলিম উদ্দিন লম্বা সুমন,পিং-মোঃ হামিদুল্লাহ মিয়া, সাং-নন্দীপাড়া, ১২।আহসান কবির,পিং- আবুল কালাম, সাং-নন্দীপাড়া, ১৩।রোকন উদ্দিন, পিং-মৃত সালাউদ্দিন, সাং-শ্রীপুরগনকে গ্রেফতার করতে আইন সংস্থা তৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই হত্যার বিষয় ৭টি আসামী পরিবারে যোগাযোগে জানাযায় যে-ছাত্র ও যুবলীগ নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার জোর ও চাদাঁবাজি টাকা ভাগাভাগী নিয়ে অন্তরদন্দ ও কলোহর কারনে হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে এবং সম্পুর্ন রাজনৈতীক ষড়যন্ত্রমূলক নিরিহ নেতাকর্মিকে মামলায় জড়িয়ে পুলিশ প্রশাসন দ্বারা হয়রানি ও বর্বরচিত নির্যাতন চালিয়ে আসছে। থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগে জানাযায় যে-তাহারা মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহ পর্যবেক্ষন/পরিচালোনা করছেন বিধায় তদন্তর খাতিরে এজাহার ভুক্ত বা যেকোন সন্দেহজনকে দ্রুত গ্রেফতার প্রক্রিয় চলমান আছে। আইন প্রশাসন নিশ্চিত করেন যে-দলবল নির্বিশেষে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় বন্দির মাধ্যমে ন্যায় পড়ায়ন আইনি ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছেন তবে সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছেন।
Leave a Reply