আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-
ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলা গোবিন্দপুর বাজারে গত ৩০ সে অক্টোবর ২০২১ ইং সন্ধায় দলীয় প্রভাব বিস্তার ও চাদাঁবাজি কেন্দ্রীক ক্ষমতাশীন যুবলীগের এক কর্মিকে দূর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। এই চাঞ্চল্যকর হত্যার অভিযোগের বিষয় এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-গালিমপুর মুসলিম হাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আমজাদ খানের ছোট পূত্র মোঃরফিক খান (৩৩) যুবলীগ কর্মি তাহার সঙ্গিদের নিয়ে উক্ত সন্ধায় বাজারে জমির উদ্দিনে চায়ের দোকানে চা পানরত প্রতিপক্ষ এলাকার বিরোধী রাজনৈতীক দলীয় নেতা আয়মান শেখের গ্রুপের সাথে সরকারী ভুমি দখল ও বাজার নিয়ন্ত্রন চাদাঁবাজি সংক্রান্ত বাকবিতন্ড থেকে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। একপর্যায় উভয় পক্ষ বিভিন্ন হাতিয়ার ও আগ্নেঅস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমন/ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালালে রফিক খান জীবন রক্ষার্থে শেখ আঃ সাত্তার ট্রেডার্সে আত্নগোপন করেন। কিন্তু এই নির্মম হত্যার কারন বর্ননা করে বাদী ও ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী দাবী করেন যে-দোকানের মালিকের সাথে বাদী মাসুদ খান ও ভিকটিম রফিকের দীর্ঘদিন শত্রুতা চলমান ছিল বিধায় দোকানে কর্মরত মালিকের পূত্র মোতালেব হোসেন এই সুযোগে আয়মানের সন্ত্রাসীদের কাছে রফিককে ধরিয়ে দেওয়াতে এই বর্বর হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। যুবলীগ কর্মি রফিক খানের হত্যার ঘটনাটি এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি ঘটালে পুলিশ ফোর্স উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষমহয়। তবে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজমান আছে। আইন সংস্থা এজাহার ভুক্ত মোট ১১জন সন্দেহ ভাজন আসামীর মধ্যে ৫জনকে গত রবিবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আলামতসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন । এই মামলায় গ্রেফতার কৃতরা হলেন ৩। শেখ মোঃ সাইদুল, পিং-শেখ নজীর উদ্দিন, ৫। মোঃ জাকের আলী, পিং-মোঃ সুকুর আলী, ৬। হাবিব সাইদ, পিং- বিলাল হোসেন,৭। আব্দুল হাকিম,পিং-আব্দুল গফুর, ৯। মঞ্জুর এলাহি,পিং-মকবুল এলাহিগং এবং পলাতকগন ১। আয়মান শেখ, পিং-শেখ বোরহান, ২ হুমায়ুন কবির, পিং-নেসার উদ্দিন, ৪। রফিক সরদার, পিং- বদর উদ্দিন সরদার, ৮। স্বপন মন্ডল, পিং-অমিত মন্ডল,১০। মোঃ মোতালেব হোসেন, পিং-শেখ আব্দুল সাত্তার,১১। শেখ আব্দুল সাত্তার, পিং-মৃত শেখ জোনাব আলীগং সকলে নবাবগঞ্জ উপজেলা চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদ অন্তর ভুক্ত বিভিন্ন গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। প্রতিনিধি থানায় যোগাযোগে জানতে পারেন যে-এই হত্যার বিরুদ্ধে গত ৩১/১০/২১ইং থানায় যৌথ অভিযোগের মামলা রুজু হয়েছে এবং হত্যার মূল রহস্য প্রাথমিক ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও চাদাঁবাজি হিসাবে ধারনা করছেন। থানার ওসি সাহেব আরো নিশ্চিত করেন যে,বাদী ও বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে থানায় প্রচুর অভিযোগ অনিস্পত্তি অবস্থায় চলমান আছে এবং আইন সংস্থা পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুক্ষ আইনি তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। যাহার ফলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে-হত্যার বাস্তবতা উৎঘাটনের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় উপযুক্ত সাজা প্রদানের নিশ্চিয়তার আশ্বাস জানায়।
Leave a Reply