আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা স্টেশনপাড়া বাসিন্দা আমিরুল হোসেনের বড় পূত্র রিফাত হাসান রিপন (২০) ছাত্রলীগ সদস্যকে গত ২৫শে মে ২০২১ইং সন্ধায় একদল দূর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই চাঞ্চল্যকর হত্যার অভিযোগের বিষয় এলাকা বাসিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় প্রতিপক্ষ বিএনপি জামায়েত/শিবির নেতা কর্মিদের সাথে ভিকটিমের দীর্ঘদিনের রাজনৈতীক দলীয় ও এলাকায় চাদাঁবাজিসহ ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার কেন্দ্রীক উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ শত্রুতা চলমান ছিল। অতপর উক্ত সন্ধায় ভিকটিম রিপন তাহার দলবল নিয়ে পৌর বাজার রোডে দলীয় প্রচারনা কার্যক্রম চলানোর সময় প্রতিপক্ষ আসামীরা তাহাদের বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। একপর্যায় প্রতিশোধ পরায়ন আসামীরা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মুরশেদ আলীর নেতৃত্তে বিভিন্ন হাতিয়ার নিয়ে রিপনের উপর আক্রমন চালায় এবং তাহার সঙ্গিরা রিপনকে বাচানোর চেষ্টা করলে দূর্বৃত্তদের সম্মেলীত আক্রমনে ১। বাতেন ভুঞা (২০), ২। সাজ্জাদ শরিফ (২০), ৩। মোঃ মিজানুর (২০),৪। বাহাউদ্দিন(১৯)গন গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। এলাকাবাসি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির করলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে ৩০মিনিটের মধ্যে রিপন মৃত্যুবরন করে। ফলে এলাকায় মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পরলে তাৎখনিক ভয়াবহ উত্তেজনা সৃষ্টি ঘটে এবং পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে আইন সংস্থা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। পুলিশ প্রশাসন পরদিন বাদীর লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য মোতাবেক প্রাথমিকভাবে ১১জনকে আসামী চিহ্নিত করেন। যথা ১। মুরশেদ আলী, পিং- মোঃ আলী, ২ ।শামিম পাটোয়ারী, পিং-খোরশেদ পাটোয়ারী ৩। ইব্রাহিম কামাল, পিং-মোঃনাজির ৪। নজরুল ভূঞা, পিং- আজিজ ভূঞা, ৫। আকবর, পিং-রহমত মুন্সি, ৬ মানিক, পিং-নুরে আলম, ৭। মনির, পিং-এনাম হোসেন ৮। ফকরুল ইসলাম, পিং-মৃত রফিকুল ইসলাম, ৯।রাসেল খন্দকার,পিং-মাসুদ খন্দকার, ১০। উমর সানি, পিং-ডাঃরাশেদ, ১১। আবু সালেহ, পিং-জহির আলমগনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং ৬জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই অনাকাঙ্খিত হত্যা প্রসঙ্গে প্রতিনিধি আসামীদের পরিবারে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-রিপন ও তাহার সঙ্গিরা দলীয় প্রভাবে এলাকায় চরম নৈরাজ্য কায়েম করে চাদাঁবাজীসহ সবধরনের গুরুতর অপরাধ চালিয়ে আসছিল। তাহাদের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় অসংখ্য মামলা চলমান কিন্তু রাজনৈতীক ক্ষমতার জোরে তাহাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত প্রতিকার থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হচ্ছে বিধায় এই হত্যা সংঘঠিত হয়েছে। তবে ৫জন আসামীর পরিবার কঠোর প্রতিবাদ করেন যে-এই হত্যার সাথে তাহাদের কোন সম্পৃত্ততা নেই এবং সরকারী দলীয় কিছু অসৎ নেতাদের ষড়যন্ত্রে তাহাদের বিপদগ্রস্থ ও সম্পত্তি জোরদখল করতে সুপরিকল্পিত ভাবে মামলায় আসামী করা হয়েছে। এলাকার ৫/৬জন বাসিন্দা (পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবী করেন-এই হত্যাকান্ডটি নিজেদের মধ্যে চাদাঁবাজির অর্থ আত্নসাধ ও প্রভাব বিস্তার কেন্দ্রীক দাঙ্গায় রিপনকে পরিকল্পীত হত্যা করা হয়েছে।থানায় যোগাযোগে প্রতিনিধি নিশ্চিত হয় যে-মৃত রিপন ও তাহার সঙ্গিদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিন্তু বয়সের কারনে অভিযোগ গুলির উপর উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে। থানার ও/সি সাহেব নিশ্চিত করেন যে- এই হত্যার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত চলমান আছে এবং খুব শিঘ্রই আই/ও সঠিক তদন্তর মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন ও আদালতে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য অভিযোগ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
Leave a Reply