ঢাকা কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধির সংবাদ-
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা ও থানা শাখা যুবলীগ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেনের কুমারী কন্যা সায়মা ইয়াসমিন বিথী(১৭) বৎসর কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ গত ৫ই অক্টোবর ২০২১ইং মঙ্গলবার সন্ধায় কোন্ডা ইউনিয়ন বাজারে পিছে নোংড়া ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। এই লাশ উদ্ধার বিষয় স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়-তাহারা ডোবার চারিপাশে কুকুরের সন্দেহাতীত যাওয়া আসা ও চেচামেচীর বিষয়টির প্রতি গুরুত্বপাত করে সেখানে গিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় যুবতীর লাশ দেখতে পায়। অতপর ঘটনাটি দ্রুত এলাকাবাসির মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন জানতে পারেন এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ভিকটিম পরিবার লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন ও লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেন। পরিবার সুত্রে প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে অবগত করে যে-বিধী গত ৪/১০/২১ইং বিকালে কোচিং করতে যায় কিন্তু এরপর বিথী আর গৃহে ফেরে নাই। পরিবার তাহার সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে ফোন বন্ধ পায় এবং সকালে বিথীর কলেজের বান্ধবী তারানার মাধ্যমে জানতে পারেন যে-বিথী ২জন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে ঢাকার বাহিরে কোথাও বেড়াতে গেছে। অতপর পুলিশ লাশের সুরতেহাল তথ্য রেকর্ড ও পরিবারে ভাষ্য প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে নোট করেন এবং সেই রাতে পুলিশ বিধীর ২জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ১ কামরুল ইসলাম সোয়েব (২৪),পিং-মুক্তার হোসেন, সাং-দক্ষিন পানগাওঁ, কোন্ডা ইউনিয়ন, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ বাসি, ২। মীর্জা রাকিব হাসান (২৩), পিং- মীর্জা তাজুল ইসলাম মাষ্টার, সাং-একই গ্রাম বাসির অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারেন যে ২জনে ঢাকার বাহিরে বেড়াতে গেছে। যাহার ফলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে সন্দেহাতীত ২জনকে এই হত্যার আসামী চিহ্নিত করেন এবং মৃত বিথীর পিতা উপযুক্ত স্বাক্ষিদের বয়ানের উপর গত ৬/১০/২১ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই হত্যার বিষয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়-ডিএমসি ফরেনসিক বিভাগের ময়না তদন্ত রিপোর্টে প্রতিয়মান হয় যে-বিথীকে হত্যার পূর্বে ৫/৬জন সম্মেলীত গনধর্ষন চালায় এবং আনুমানিক ভোরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।যাহারপর ও/সি সাহেব নিশ্চিত করে যে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালতের আদেশে মামলার তদন্তর দায়িত্ব পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তৎপড়তা চলমান আছে। এই সংবাদ প্রচারিত হওয়া পর্যন্ত কোন আসামীকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই।
Leave a Reply