আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলা মোস্তফাপুর ইউনিয়নস্থ দক্ষিন খাগছাড়া গ্রামে সংখ্যা লঘু হিন্দুদের রাধা কৃষ্ণ মন্দির নির্মান কেন্দ্রীক গত ১৬ই সেপ্টম্বর ২০১৯ইং সকালে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গায় আওয়ামীলীগ নেতার পূত্র ও যুবলীগ কর্মী মোঃজুয়েল মল্লিক (২৮) নিহত হয়। এই নির্মম হত্যার উৎপত্তির বিষয় প্রতিনিধি এলাকাবাসিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন- উক্ত ভোরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে সরকারী খাস জমিতে অবৈধভাবে রাধা কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করার সময় ভিকটিম জুয়েল মল্লিক গ্রাম-বাসিদের নিয়ে তাহাদের কাজে বাধা দেয়। একপর্যায় উভয়ের মধ্যে চরম বাকবিতন্ড শুরু হলে এলাকায় বিরোধী দলীয় কিছু সুবিধাবাদিরা রাজনৈতীক প্রতিহিংসার সুযোগ নিয়ে কোন শান্তিপূর্ন সমঝতা না করে উল্টা সংখ্যালঘুদের পক্ষ নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি সহ বিভিন্ন হাতিয়ার দ্বারা আক্রমনও দাঙ্গাফসাদ সংঘঠিত করে। উপস্থিত কিছু প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিতভাবে অবগত করেন যে-জুয়েল মল্লিকের সাথে হিন্দুদের পূর্বের বিভিন্ন বিষয় জটিল সমস্যা ও শত্রুতার কারনে ৯/১০জন হিন্দু যুবক এই সুযোগে সম্মেলীত হয়ে জুয়েল, শাহ আলম, সাইফুল,মুক্তারকে নির্মমভাবে পিটিয়েও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসি আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সদর হাসপাতালে উপস্থিত করলে কর্তব্যরত ডাক্তার জুয়েল মল্লিককে মৃত ঘোষনা দিয়ে অন্যদের সুচিকিৎসা চালিয়ে যায়। এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় দ্রুত জানাজানি হওয়ারপর পুলিশ ফোর্স ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সুরতেহাল রিপোর্ট তৈরী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের প্রাথমিক তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করেন। আইনি কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সমাধানের লক্ষে ভিকটিমের পিতা সোনামিয়া মল্লিকের উপস্থিতিতে লাশের ময়না তদন্তর জন্য ফরেনসীক বিভাগে মৃতদেহ স্থানান্তর করেন। সুরতেহাল পরিদর্শক প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহাদের বয়ানের উপর ভিত্তিকরে প্রাথমিকভাবে ৭জন আসামীর পরিচয় খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করেন। অদ্য ভিকটিমের পিতা লাশের সৎকার্য সমাপনের পর রাষ্ট্রীয় সহযোগীতায় বাদী হয়ে স্বাক্ষিদের বয়ানের উপর আসামীদের পরিচয় যথাযোগ্য চিহ্নিত করে যথা- ১। বিপ্লব মন্ডল, পিং-বিমল মন্ডল, ২। প্রশান্ত হাওলাদার, পিং- প্রেমানন্দ হাওলাদার, ৩। বাপ্পি বাড়ৈ, পিং-নিরমল বাড়ৈ, ৪। আকাশরায়, পিং-কানাইরায়, ৫।গনেশ ঘটক, পিং-শান্তি ঘটক,৬।অপূর্বমজুমদার,পিং-রমেশ মজুমদার, ৭।গোবিন্দ সরদার, পিং-সধানন্দ সরদার গং সকলে মোস্তফাপুর ইউনিয়নে খাগছাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রতিনিধি এই হত্যার উৎপত্তির বিষয় থানার ও/সি কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রাথমিকভাবে মন্দির নির্মানের ঘটনাটি কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ডের সুচনা হয়েছে বলিয়া দাবী করেন। তবে তিনি বিষয়টি সাম্প্রদায়িকতার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছেন এবং প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর্যন্ত আইন সংস্থা কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেন নাই।
Leave a Reply