পশু আর ক্রেতা বিক্রেতায় জমজমাট উত্তরাঞ্চলের বড় কোরবানীর হাট জয়পুরহাটের নতুনহাটসহ পাঁচবিবি, জামালগঞ্জ আক্কেলপুর ও দূর্গাদহ বাজার। পশু আর ক্রেতা বিক্রেতায় জমজমাট হাটগুলো, তিল ধারনের যেন ঠাঁই নাই। যথারীতি এই হাটগুলো দুপুর থেকে বসলেও এখন বসছে সকাল থেকেই আর উপচে পড়া ভিঁড় লক্ষনীয়। কেউ কেউ বলছেন স্মরনকালের বড় হাট বসেছে জয়পুরহাটে। হাটের জায়গা ছাড়াও রাস্তা এবং অলিগলি পাড়ার মধ্যেও ঢুকছে গরু আর ছাগল। সরেজমিনে দেখাগেছে হাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে ভটভটি আর ট্রাকে ভরে যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন প্রতিবছর তাদের টার্গেট থাকে নতুন হাট থেকে পশু কেনার। যেহেতু নতুন হাটে পশুর সরবরাহ বেশি তাই এখান থেকে পশু কেনা সহজ।নতুন হাটে পশু কেনার পাইকার আর খরিদ্দার বেশি তাই বেচাকেনা ভাল হয়।
শুধু জয়পুরহাট নয় পার্শবর্তী নওগাঁ, বগুড়া দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলা থেকে ভটভটি করে গরু আনা হচ্ছে এই হাটে। আর ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, নরসিংদী থেকে পাইকারি ক্রেতারা ট্রাক নিয়ে এসেছেন গরু কিনতে।
এখানে দেশি, বিদেশী বলতে ভারতীয় ও দেশে উৎপাদিত শাহী ওয়াল জাতীয় গরু বেশি তবে দেশী ষাঁড় ও বোকনা গরুর চাহিদা বেশি। দামের মধ্যে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে চার লাখ টাকা দামের গরু কেনা বেচা হচ্ছে।
এদিকে প্রচন্ড রোদের কারনে গরু বিক্রেতারা নাজেহাল। নতুন হাটের ইজারা থেকে প্রচুর ইনকাম হলেও হাটের যথেষ্ঠ অব্যবস্থাপনা রয়েছে। গরু দাঁড় করানোর কোন ব্যবস্থা নেই। অতিরিক্ত গরু আসলে তারজন্য ইজারাদার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা। অতিরিক্ত গরুর চাপে ক্রেতারা গরু দেখে কিনতে পারছেননা।
গরুর উপস্থিতি বেশি হলেও বিক্রি কিছুটা কম। মাঝারি সাইজের পশু বিশেষ করে ষাট থেকে এক লাখ বা দেড় লাখ টাকার গরুর চাহিদা বেশি।কালিচরন প্রসাদ, ইজারাদার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, এবছর জেলায় ৩লাখ ৮হাজার ২শ পশু প্রস্তুত করা আছে এর মধ্যে জেলার চাহিদা রয়েছে ১লাখ ৫০হাজার ২শ।ডাঃ মাহফুজার রহমান, ডিএল ও, জয়পুরহাট জয়পুরহাটে চাহিদার থেকে উৎবৃত্ত ১লাখ ৫৮ হাজার পশু জেলার বাইরে বিক্রি করা হচ্ছে।
Leave a Reply