আমাদের সংবাদদাতাঃ-
বগুড়া সারিয়াকান্দি থানা নিয়ন্ত্রনাধী আনুমানিক ৩কিঃমিঃ উত্তরে অবস্থিত দিগল কান্দি গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন জসিম উদ্দিনের বাশবাগানের মধ্যে গনকবর থেকে ৪জন গুমকৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য-গতকাল সোমবার ৭ই জানুয়ারী ২০১৯ইং সকালে জমির মালিক কর্মিদের নিয়ে বাশঁবাগান পরিদর্শনের সেখানে মাটি খোরা উঁচু স্থানের চারিপাশে রক্তের ছাপ দেখতে পায় এবং সন্দেহ বশত স্থানটির মাটি খনন করে কাফন বিহিন ৪জন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। তিনি বিচলিত হয়ে তাৎক্ষনিক গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-২দিন পূর্বে গভীররাতে র্যাব ফোর্স সম্ভবত মাদক সন্ত্রাসীদের সাথে ক্রস গোলা গুলি চালায় কিন্তু কোন হত্যার বিষয় কেউ সঠিক তথ্য জানেনা। ফলে সংবাদটি দ্রুত পার্শ্ববর্তি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ৪টি পরিবার সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে লাশের পরিচিতি সনাক্ত এবং মৃত দেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালালে আইন সংস্থা জানতে পেরে দ্রুত উপস্থিত হয়ে তাহাদের কঠোর বাধা ও গোলাগুলি নিক্ষেপকরে ছত্রভঙ্গসহ বেশকিছু প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করে। সংবাদ প্রতিনিধি দিগলকান্দি কবরস্থান এলাকাটি পুলিশ ও র্যাব ফোর্স সদস্যদের ঘিরে রাখতে দেখেন এবং লাশ ও গনকবর সংক্রান্ত তথ্য জানার চেষ্টা চালালে আইন সংস্থা ও সরকারী দলীয় নেতাকর্মিদের কঠোর বাধার সম্মূখীন হন। এমনকি সরকারী দলীয় নেতাকর্মিরা সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্তহয়ে ক্যামেরা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাকরলে তিনি আত্নরক্ষার্থে দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে সেই সন্ধায় প্রতিনিধি গোপনে গ্রামবাসি ও ভিকটিম পরিবারে যোগাযোগে নিশ্চিত হয় যে-গত ৩০/১২/১৮ইং জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রীক সরকারী দলীয় ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় কঠোর বাধা সহিংশতা ও প্রচারনার কারনে আইন প্রশাসন বিএনপি ও জামায়েতের ৪জন নেতাকর্মিকে বিভিন্ন সময় ও স্থান থেকে গ্রেফতার/অপহরন করেন। ভিকটিম পরিবার তাহাদের সন্ধান ও উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ জানায় কিন্তু আইন প্রশাসন এবিষয় কোন গুরুত্ব বা তথ্য জানানোর বিষয় সম্পূর্ন এড়িয়ে যায়। ফলে গত সকালে হতভাগা পরিবার গনকবর ও লাশের সন্ধান জানতে পেরে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত ভিকটিমদের পরিচয় শনাক্ত ও লাশ ধর্মীয় রেওয়াজে দাফনকাফন করার প্রয়াস চালালে তাহারা আইন সংস্থা ও সরকারী দলীয় নেতাকর্মিদের বর্বরোচিত হামলা মামলার শিকার হয়েছে বলে দাবী করেন। অতপর ভিকটিম পরিবারে তথ্য মোতাবেক জানাযায় যে-গত ২/০১/১৯ইং গোষাইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও জামায়েত নেতা মৌঃনাজিম উদ্দিন(৪৪),পিং-হাজী কামাল উদ্দিন,পেশা-মসজিদের ইমাম এবং একই গ্রামের বাসিন্দা মোমিনুর রহমান মিসুক (৩৯), পিং-মৃত মুস্তাক মিয়া,পেশা-কৃষক ও জামায়েত কর্মিকে ভোরে মসজিদ থেকে অপহরন করেছিল। সারিয়াকান্দি ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুসারফ হোসেন (৩৭), পিং-হাজী আব্দুল মালেক, পেশা-খামার ব্যবসায়ি ও বিএনপি যুবদলের নেতাকে গত ৩/০১/১৯ইং সন্ধায় ইউনিয়ন বাজার থেকে সিভিল পোশাকে র্যাব অপহরণ করে এবং একই ইউনিয়নে পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃবিপুল শেখ (৩৫),পিং-মোঃ বেলাল শেখ,পেশা-হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ওলেমা দলের নেতা গত ৫/০১/১৯ইং রাতে দিগলকান্দি গ্রামে আত্মিয়র বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। ধারনা করা যাচ্ছে যে ৪জন অপহৃত ভিকটিমদের র্যাব ফোর্স ৫/৬ জানুয়ারী ভোর রাতে হত্যাকরে ঐ কবরস্থান সংলগ্ন বাশ বাগানে তাহাদের বিনা জানাযায় মাটির নিচে লাশ পুতে রাখে। যাহার কারনে ভিকটিম পরিবার ও আত্নিয় পরিজনরা এই বর্বরোচিত হত্যার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার ও লাশের ধর্মীয় সৎকারে দাবী করলে আইন সংস্থার ভয়ভীতিকর হুমকি ধামকিসহ জীবনের নিরাপত্তা জনিত কারনে সকলে নিজ বশতভিটা ত্যাগকরে অন্যত্র আত্নগোপনে আছে।
Leave a Reply