1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :
মানবিকতার পরিচয় দিলেন ওসি;অক্লান্ত চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চায় ওসি পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট কেরানীগঞ্জবাসী ভুট্টার বাম্পার ফলনেও চিন্তিত চাষীরা ভুট্টার বাম্পার ফলনেও চিন্তিত চাষীরা ইটনায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩২ জন কটিয়াদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে জামাতের কলম বিতরণ বাজিতপুরে নদীর মাছ নিয়ে চাচা ভাতিজার দ্বন্ধ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাহিদামতো ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ করে না ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ছাগলনাইয়া মৌরী নদীরপারে অপহৃত জসিম উদ্দিন চৌধুরীর লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে পোকা দমনে ‘আলোক ফাঁদ’

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩০৪ বার
আব্বাস হোসাইন আফতাব,রাঙ্গুনিয়া,চট্টগ্রাম

 

কৃষি মাঠে পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহারের প্রচলিত নিয়মের বাইরে এবার ‘আলোক ফাঁদ’ পদ্ধতি ব্যবহার করছে চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলের কৃষকরা। নামমাত্র খরচে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে শনাক্ত করা যাচ্ছে ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা।

এতে চাষিরা নিজেরাই ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন। পরিবেশবান্ধব ও অর্থ সাশ্রয়ী এই পদ্ধতি ব্যবহারের সুফল পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে দিন দিন এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি আমন মৌসুমে শস্যভাণ্ডার গুমাইবিলে ৩৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। বন্যার কারণে এবার গুমাইবিলের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অধিকাংশ কৃষকের আমন আবাদ নষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো আবাদ করতে হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়া কৃষকদের আবাদ যাতে ভাল থাকে এবং ভাল ফলন পেয়ে যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে সেজন্য কৃষি বিভাগ নানাভাবে সাধারণ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এরঅংশ হিসেবে গুমাইবিলের অর্ধ শতাধিক স্পটে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে একযোগে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সারা রাঙ্গুনিয়ায় এদিন অন্তত দুই শতাধিক স্পটে সরকারি উদ্যোগে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকাদমন করা হয়েছে। এতে কৃষকরা ‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহারের উপকারিতা প্রত্যক্ষ করছেন এবং নিজেরা এই পদ্ধতিতে পোকা দমনে উৎসাহিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

এটি নিয়মিত চালু রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গুমাইবিলের কৃষক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, আমি নিজে ৮০ শতক জমিতে আমন আবাদ করেছি। ইদানিং ধানে পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই পোকা দমনে গতানুগতিক ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে কৃষি অফিসের পরামর্শে কম খরচের আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এটির ভাল সুফল পাচ্ছি আমরা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল বলেন, ‘মাত্র ২০০টাকার মধ্যে নিজেই একটি আলোক ফাঁদ স্থাপন করা যায়। এটি ব্যবহারে ক্ষতিকর শত্রু পোকা ও উপকারী বন্ধু পোকাও নির্ণয় করা হচ্ছে। রোপা আমন মৌসুমে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পর কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমছে, আর ফসল থাকছে অনেকটা বিষমুক্ত।

প্রতিবেদন – আব্বাস হোসাইন আফতাব,রাঙ্গুনিয়া,চট্টগ্রাম

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com