আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
অদ্য ১৪ ই মে ২০২২ইং সকাল আনুমানিক ৮.৩০ ঘটিকায় কাফরুল স্বস্থ ওয়াপদা রোডে সূর্য বিলাশ ফ্লাট বাড়ীর ৭ম তলার সাবলেট ভাড়াটিয়া কুমারি মিতু ইসলাম নামে (২২/২৩) বৎসরের এক যুবতির মৃত দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এই মৃত্যুর কারন জানার জন্য বাড়ীর মালিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে মেয়েটি আনুমানিক ৭/৮মাস যাবৎ ৭ম তলায় সাবলেট হিসাবে মোঃ জাকির নামে এক পরিবারের সাথে বসবাস করছিল। কিন্তু প্রকৃত ভাড়াটিয়া চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ১০/১২দিন যাবৎ ভারতে অবস্থান করছে বিধায় এর চাইতে বেশী কিছুই তিনি জানেন না। যাহারপর পুলিশ গৃহের অভ্যন্তরে তল্লাসি চালিয়ে মৃত ভিকটিমের পেশাগত পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন জরুরী কাগজপত্র জব্দকরতে সক্ষম হয় এবং পেশাগত পরিচয়পত্রর মাধ্যমে কর্মস্থলে যোগাযোগে পুলিশ জানতে পারেন যে- মিতু ইসলাম অসুস্থতার কারনে ২দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উৎঘাটনে সক্ষম হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ময়না তদন্তর মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে-বিষাক্ত খাবার খেয়ে ভিকটিমের মৃত্যু ঘটেছে এবং আরো নিশ্চিত করেন যে-মেয়েটি ৪মাসের অন্তস্বত্বা ছিল। এই মৃত্যুর কারনটি যদিও প্রাথমিক ভাবে আত্নহত্যা ধারনা করাহয় কিন্তু কাফরুল থানার ও/সি বিষয়টি জটিল বলে ধারনা করছেন এবং কর্মস্থলে মিতুর কলীগ ও ঘনীষ্ট হিন্দু বন্ধু শ্রী সাওন দাসকে(২৯/৩০) এই মৃত্যুর সাথে সম্পৃত্ত থাকার উপর বিশেষ সন্দেহর দৃষ্টিপাত করছেন। এই সন্দেহের বিষয় জিজ্ঞসাবাদে পুলিশ কর্মকর্তা অবগত করেন যে-প্রাথমিক ভাবে মেসার্স আল-জাহারা ফ্যাসনের প্রাঃ লিঃ মালিক ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন-শ্রী সাওন দাস এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্নবান পদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিল। এবং সেই সুবাদে ভিকটিম মিতুর সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠাতে উভয়ের অনিয়ন্ত্রীত মেলামেশার কারনে মিতু গর্বভর্তী হয়েপরে। ফলে মিতু সাওন কে ইসলাম ধর্মগ্রহন করে বিবাহের চাপ সৃষ্টি করলে সাওন বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং একপর্যায় মালিক ঘটনাটি জানতে পারলে তিনিও সাওয়নকে চাপ সৃষ্টি করাতে সাওন প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ৫লক্ষ টাকা নিয়ে আত্নগোপন করলে প্রতিষ্ঠান তাহার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় গত সপ্তাহ অর্থআত্মসাধের মামলা রুজু করেন। যাহারফলে ও/সি সাহেব বিষয়টি গুরুত্তদিয়ে প্রাথমিকভাবে সাওয়নকে সন্দেহাতীত অপরাধী চিহ্নিত করে কাফরুল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাষ্ট্র বাদী মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ভিকটিমের অভিভাবক কে আগামিকাল মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে লাশ বুঝে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মামলার কার্যক্রম ও আসামীকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
Leave a Reply