আমাদের সংবাদ দাতা:
চট্টগ্রামে ফটিকছড়ী উপজেলায় হারুয়াছড়ি গ্রামে মেসার্স আমান উল্লাহ মিয়া ব্রিক্স ফিল্ডে মর্মান্তি অগ্নিদগ্ধ হত্যার ঘটনার বিষয় তথ্য প্রকাশ করেন। তাহার প্রতিবেদনে জানাযায় যে-গত ২১শে এপ্রিল ২০২২ইং সকাল আনুমানিক ৮/৮.৩০ ঘটিকায় কলেজ ছাত্র শফিউল আজম (২৪), পিং-রফিকুল আজম, একই উপজেলায় লম্বাবীল গ্রামের বাসিন্দাকে দূর্বৃত্তরা ইটের ভাটায় চুল্লিতে ফেলে নির্মম অগ্নিদগ্ধ হত্যা করেছে। এই বর্বরচীত হত্যার বিষয় ভিকটিম পরিবার ও প্রত্যক্ষর্দশী এলাকাবাসিদের জিজ্ঞাসা বাদে জানাযায়-দীর্ঘদিন অত্র এলাকায় অবৈধ ইটের ভাটা গড়ে উঠার কারনে অসৎ ব্যবসায়িরা পাহাড় ও বোনজ সম্পদ গাছপালা কেটে রাষ্ট্র ও জনগনের চরম ক্ষতি সাধন করে আসছে। এমনকি কৃষিজীবি জনগন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বান্ধব প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে দিনে দিনে ফসল উৎপাদনের ঘাটতির সম্মুখিন হচ্ছে। উপরন্ত সরকার এইরুপ অনুমোদিত অবৈধ ইটের ভাটা গুলীকে সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ঘোষনার পরেও এক শ্রেনীর অসৎ ব্যবসায়ি মহল রাজনৈতীক ক্ষমতার প্রভাব ও দূর্নীতিবাজ প্রশাসনের সহযোগীতায় নাগাতার ইটের ভাটার ব্যবসা রমরমাট চালিয়ে আসছে। ফলে এলাকায় উদিয়মান স্বচেতন কিছু শিক্ষিত যুবকরা এইরুপ অনৈতীক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদী ভূমিকার উদ্দোগ নিয়ে সৃষ্টির প্রাকৃতিক পরিবেশ বজিয়ে রাখার আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিফল হয়। ফলে গত ২১/০৪/২০২২ইং ভোরে হারুয়াছড়িতে প্রভাবশালী তৈয়ব বাহিনীর লোকেরা বনসম্পদ গাছপালা কেটে আমানউল্লাহ মিয়া ইটের ভাটায় নেওয়ার সময় যুবসমাজ তাহাদের বাধা দিলে উভয়র মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা সংঘর্ষ শুরুহয়। একপর্যায় মালিক পক্ষের সন্ত্রাসীরা প্রতিবাদী যুবক শফিউল আজমকে ধাক্কাদিয়ে ইটের ভাটার চুল্লিতে ফেলে অগ্নিদগ্ধ হত্যা এবং ছাত্র দুর্জয়কে পেটে চূড়িকাঘাৎ করলে বিষয়টি এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি ঘটায়। পুলিশ ঘটনাটি শুনারপর দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে কিন্তু রাজনৈতীক উচ্চ মহলের প্রভাবে ঘটনাটির মোড় ভিন্ন দিকে ধাবিত করে উল্টা প্রতিবাদী সুশীল যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী মামলা দায়ের হওয়ার সত্যতা জানাযায়। প্রতিনিধি থানায় যোগাযোগে জানতে পারেন যে-ইটের ভাটার মালিক ও কাঠজাত জ্বালানি সর্বরাহকারি ঠিকাদার কর্মিরা ১১জন যুবকের বিরুদ্ধে জোরজুলুম চাদাবাজির অভিযোগ চাপিয়ে অগ্নিদগ্ধ হত্যার ঘটনাটিকে সম্পুর্ন তাহাদের বেখেয়ালী দূর্ঘটনা জনক অপমৃত্যু হিসাবে থানাকে অবহিত করে। অতঃপর বাদী রাষ্ট্রপক্ষ ১। নুর-মেহেদী রাকিব (২৪), পিং-আবুল কাসেম, ২। মোঃশাকিল (২১), পিং-মোঃমামুন, ৩ ।মাহফুজ রহমান(২২), পিং-আতাউর রহমান, ৪ ।রবিউল হাসান (২৭), পিং-রকিব মিয়া, ৫। দূর্জয় আচার্য্য (২৪), পিং-অজয় আচার্য, ৬।মোঃ মোবারক (২৮), পিং-রফিকুল ইসলাম, ৭। আব্দুল্লাহ ইবনে আয়মন(২২), পিং-সালাউদ্দিন জিকু,৮। ইরফান উদ্দিন (২১) পিং-তৌহিদুল ইসলাম, ৯।আজাদ মিয়াজী (২৩), পিং-শারাফৎ মিয়াজী, ১০। রফিকুল ইসলাম (২৭), পিং-শাহিনুর ইসলাম, ১১। ফয়সাল আহমেদ (২৪), পিং-আজাদ আহমেদগনের বিরুদ্ধে সেই সন্ধায় থানায় মামলা দায়ের করে ৫জনকে হাজতে বন্দি করেছেন। মামলাটি তদন্তনাধীন এবং পুলিশ ফোর্স বাকি আসামীদের গ্রেফতারী তৎপরতা চালিয়ে আসছে।
Leave a Reply