1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :
চাহিদামতো ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ করে না ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ছাগলনাইয়া মৌরী নদীরপারে অপহৃত জসিম উদ্দিন চৌধুরীর লাশ উদ্ধার ইটনায় সেনাবাহিনীর হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার, সংঘর্ষে আহত ১ শেখ হাসিনা কি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? আইন কী বলে জুডিশিয়াল ক্যু’র মাধ্যমে ড. ইউনূস এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা যেত কী: আইন ও বাস্তবতার বয়ান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে মাস্টাররুলে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়িত্বকরণে মানববন্ধন মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলায় বিএনপি নেতার বাড়ীতে যৌথবাহিনী হামলা ও মামলা বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চাইলে কার নিকট পদত্যাগ করবেন, আইন কী বলে মুন্সিগঞ্জ টুংগিবাড়ী উপজেলায় বিএনপি নেতা দোলন ও কুমারী মুসরাত গুমের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফেনী সদর উপজেলা মধুপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারে হামলা ও ডাকাতি

আইন পড়া কী শুধুই বটতলার উকিল হওয়ার জন্য?

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৯৩ বার

২০০৭-০৮ সালের ঘটনা। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের অনির্বাচিত সরকারের রাজনীতিবিহীন জরুরি শাসনের গুমোট এক বাংলাদেশ। হাজারো স্বাপ্নিক তরুণদের সাথে সময়ের আবর্তনে ভর্তি হলাম স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রায় এক বছর পর গ্রামের বাড়িতে গেলাম। চায়ের দোকানে, খেলার মাঠে, বন্ধুদের আড্ডায় অথবা যখন কোন মুরব্বিদের সাথে আলোচনায় বলতাম আমি আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছি, তখন অনেকে বিশ্বাসই করত না যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন আলাদা করে একটি পড়ার বিষয়। তাদের অনেকেরই ধারণা ছিল, সাধারণ পড়াশোনা শেষে যদি চাকরি পাওয়া না যায় তখন ল কলেজে সন্ধ্যাকালীন পড়াশুনা করে উকিল হওয়ার জন্যই আইন পড়া যায়। আইনে পড়ে যে উকিল ছাড়া আরও অনেক কিছু হওয়া যায় এটা তারা অনেকেই জানতো না। তার মধ্যে আবার আইন পেশা নিয়ে গ্রামের মানুষের ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের ধারণা এমন যে, মিথ্যা না বলে আইন চর্চা করা যায় না। অনেকে এমনও বলতো, তুমি একটি ভালো পরিবারের ছেলে হয়ে এমন একটি বিষয় কেন পড়ছো যেখানে উকিল হয়ে সারা জীবন মিথ্যার সাথে বসবাস করতে হবে। উকিল বা আইনজীবী সম্পর্কে সমাজের মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই তারা ওভাবে বলত বা এখনো বলে আমি তাই মনেকরি। আমি তাদেরকে বলতাম, আইন বিষয়ে পড়লে যে শুধু উকিলই হতে হবে বিষয়টি আসলে ঠিক নয়। আসলে আইনের ছাত্রদের জন্য রয়েছে অবারিত সম্ভাবনা, যা আমরা অনেকেই জানিনা। এর মধ্যে কিছু পেশা রয়েছে, একান্তই আইনের ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত এবং কিছু পেশা রয়েছে আইনের ছাত্রসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত।

আমরা যাঁরা আইন শিক্ষার সাথে জড়িত, বা বর্তমানে আইনে পড়ছি, তাঁদের অনেকেই আইন বিষয়ক অপার সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার সম্পর্কে ঠিকভাবে জানি না। আজকের নিবন্ধে আমরা আইন পেশার সাথে জড়িত বৈচিত্র্যময় বিস্তৃত ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানব। যে একজন আইনের ছাত্র ভবিষ্যতে কোন কোন পেশা পছন্দ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

১/ শিক্ষকতা

বর্তমানে দেশে অর্ধশতাধিক সরকারি ও শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই আলাদা করে আইন অনুষদ রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইন অনুষদে একাধিক বিভাগ রয়েছে। যদি ভালো একাডেমিক রেজাল্ট থাকে তাহলে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে খুব দ্রুততম সময়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ল কলেজ গুলোতে ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও চাকরির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৫ হলেই অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। যাঁদের নতুন নতুন বিষয় জানার আগ্রহ ও উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন রয়েছে তাঁদের জন্য শিক্ষকতা একটি স্বপ্নের প্রফেশন।

২/ সহকারি জজ/ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

২০০৭ সালের ১ নভেম্বর সরকারের বিচারবিভাগ, নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়। এরপর থেকে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার বাতিল করে ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন’ এর মাধ্যমে শুধুমাত্র আইনের ছাত্রদের জন্য পৃথক পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারি জজ/ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষা প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র আইন বিভাগের ছাত্ররাই নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে বিচারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

 

৩/ বিসিএস ক্যাডার

আইন বিভাগের ছাত্রদের জন্য পৃথকভাবে বিজেএসসি পরীক্ষার সুযোগ থাকার পরেও তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ছাড়া অন্য ক্যাডার গুলোর যেকোনো ক্যাডারে যোগ্যতা অনুসারে আইনের ছাত্ররা চাকরি করতে পারে।

৪/ সামরিক বাহিনী

একজন আইনের শিক্ষার্থী দেশের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পদে যেমন লেফটেন্যান্ট, সাব লেফটেন্যান্ট, ফ্লাইং অফিসার হয়ে কমিশন্ড অফিসারের পদমর্যাদায় সেনা, নৌ অথবা বিমান বাহিনীতে ‘জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেল’ কোরে যোগ দিতে পারেন। সামরিক বাহিনীর ‘জাজ কোর’ শুধুমাত্র আইনের ছাত্রদের জন্যই নির্ধারিত। এখানে এরা সামরিক আইন-আদালত ও সামরিক বিচার নিয়ে কাজ করে।

৫/ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

অন্য সকল বিষয়ের ছাত্রদের মত আইনের ছাত্ররাও পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগদান করতে পারে। এর বাইরেও বর্তমানে এমন কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ‘লিগ্যাল ডিভিশন’ নেই। ব্যাংক, বীমা কোম্পানি শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ অফিসার হিসেবে চাকরির পাশাপাশি আইন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির সুযোগ শুধুমাত্র আইনের ছাত্রদের জন্যই সংরক্ষিত।

৬/ দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি (ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি)

দেশি বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিতে ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্সসহ অন্যান্য চাকরিতে সাধারণ বিভাগের ছাত্রদের মতো আইনের ছাত্ররাও চাকরি করতে পারে। এসব কোম্পানিতে সাধারণ চাকরির পাশাপাশি ‘কর্পোরেট লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ নামে আলাদা বিভাগ রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র আইনের ছাত্ররাই চাকরি করতে পারে।

৭/ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট/ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি

জায়গা জমি সংক্রান্ত চুক্তি ও ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রমে আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মী দরকার। কারণ জমিজমা সংক্রান্ত কার্যাবলী অনেক কঠিন ও জটিল। তাই এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য কোম্পানিগুলো ‘আইন কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই চাকরির দরজা শুধুমাত্র আইনের ছাত্রদের জন্যই নির্দিষ্ট।

৮/ বেসরকারি এনজিও ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান

দেশে বর্তমানে অসংখ্য বেসরকারি এনজিও, উন্নয়ন সংস্থা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ চাকরি গুলোর পাশাপাশি পৃথক ‘ল ডিভিশন’ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ চাকরি গুলোর পাশাপাশি আইন সংশ্লিষ্ট চাকরি গুলোতে আইনের শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারে।

৯/ জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিদেশি দূতাবাস

আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিদেশি দূতাবাসে ‘আইন কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার অধিকার শুধুমাত্র আইনের ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত।

 

১০/ গার্মেন্টস শিল্পে ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অডিট বিভাগ

গার্মেন্টস ও শ্রমিক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। শিল্প ও শ্রম বিরোধে মিমাংসা এবং এসব ক্ষেত্রে নজরদারিতে আইন ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। গার্মেন্টস ও শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এই ক্ষেত্রে রয়েছে চাকরির অবারিত সম্ভবনা।

১১/ সরকারি, সাংবিধানিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও কমিশন

সরকারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো ‘আইন কর্মকর্তা’ ও ‘প্যানেল আইনজীবী’ নিয়োগ দিয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুদক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ওয়াসা, পিডিবি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এসব পদে দুঃখ আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকে।

১২/ অন্যান্য নন-ক্যাডার সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাকরি

প্রথম শ্রেণির ক্যাডার ভিত্তিক চাকরির বাইরেও সরকারের অন্যান্য নন ক্যাডার ভিত্তিক নিয়োগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ চাকরি, বিভিন্ন সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের চাকরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুলিশের এস আই সহ অন্যান্য সরকারি চাকরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে যোগদান করতে পারেন।

১৩/ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি

সরকার প্রায় নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা ও শর্তাবলী উল্লেখ আছে। একমাত্র আইনের শিক্ষার্থীরাই নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকের পদ আসীন হতে পারেন।

১৪/ ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতি

এক সময় রাজনীতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আইনের শিক্ষার্থী বা আইনজীবীদের হাতেই ছিল। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এরা সকলেই আইনের ছাত্র ছিলেন। বর্তমানেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে আইনজীবীদের জয়জয়কার। বর্তমানে বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন গুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্বের কয়েকটি কমিটি পর্যালোচনা করলেই বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে। তাই ভবিষ্যতে যারা রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান আইন বিভাগ তাদের জন্য আশীর্বাদ।

১৫/ ব্যবসা-বাণিজ্য

একটি দেশের ব্যবসা বাণিজ্য আইন কানুন মেনেই করতে হয়। অনেকে ব্যবসা জানে, আইন জানে না। তখন ওই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পৃথকভাবে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হয়। নিজে আইনজীবী হলে তার জন্য আইন কানুন জেনে ব্যবসা করা অনেক বেশি সহজ হয়। একজন আইনজীবী অতি সহজেই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আইনপেশাকে অনেকে আইন ব্যবসা বলেও উল্লেখ করে।

১৬/ উকিল/ আইনজীবী

একজন আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকগুলো পেশা উল্লেখ করার পরে এখন বলছি শুধুমাত্র আইন পেশার কথা। যারা মনে করেন, আইনে পড়া শুধুমাত্র উকিল হওয়ার জন্য এতগুলো পেশা তাদের জন্য উল্লেখ করে সবশেষে আইন পেশার কথা উল্লেখ করছি।
বর্তমানে আইন পেশাও বৈচিত্রে ভরপুর। আইন পেশা ও বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় বিভক্ত। পারিবারিক, দেওয়ানি, ফৌজদারি, রিট পিটিশন ছাড়াও আপনি চাইলে হতে পারেন ‘ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার’। হতে পারেন ‘কর্পোরেট লইয়ার’ অর্থাৎ, কন্ট্রাক্ট ল, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, সিকিউরিটি ল, দেউলিয়া আইন, মেধাস্বত্ব- ট্রেডমার্কস- পেটেন্ট নিয়ে ল ও ইমিগ্রেশন ল-তে প্র্যাকটিস করতে পারেন।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আইন পেশায় কোন একঘেয়েমি নেই, নয়টা পাঁচটা ধরা বাধা অফিস নেই, অফিসের বসের অপ্রয়োজনীয় চাপ নেই। স্বাধীনভাবে, স্বাধীন পেশায় কাজ করার অবারিত সুযোগ হচ্ছে আইনজীবীর। একজন আইনজীবী যদি মনে করেন সে জীবনে একটি পয়সাও অসৎ ভাবে ইনকাম করবেন না তাহলে তাও সম্ভব। সৎ এবং অসৎ বলে কোন পেশা নেই, সব পেশাই পেশা। মানুষ সৎ বা অসৎ হতে পারে। মানুষ সৎ হলে আইন পেশায়ও সৎ থাকা সম্ভব, মানুষ অসৎ হলে যে পেশায় থাকুক না কেন সেখানে সে অসৎ হতে পারবে। অতীতের চিন্তাধারা বদলে ফেলুন, ভালোবেসে আইন পড়ুন, অবারিত সম্ভাবনার এই ক্ষেত্রে নিজেকে সু প্রতিষ্ঠিত করুন। দেশের সকল আইন শিক্ষার্থীর জন্য শুভকামনা রইল।

লেখক: আরিফুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক, আইন ও বিচার বিভাগ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com