আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলা/থানা নিয়ন্ত্রনাধীন মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জনাব মহিউদ্দিনের বাড়ীতে গত ২৬শে নভেম্বর ২০২২ ইং শনিবার রাতে দূর্বৃত্তদের বর্বরচীত হামলায় তিনি ও তাহার স্ত্রী নির্মম নির্যাতীত হয়ে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এই বর্বরচীত হামলার বিষয় প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা বাদে জানা যায় যে-আহত ভিকটিম জনাব মহিউদ্দিন (৬৫) পেশাগত একজন প্রতিষ্ঠিত গবাদী পশু খামাড় ব্যবসায়ি এবং বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। এমনকি তাহার বড় পূত্র নোয়াখালী সরকারী কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদল নেতা বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রবাসে স্বপরিবারে অবস্থান করছেন কিন্তু এলাকার ক্ষমতাশীন দলীয় নেতাকর্মিরা ভিকটিম পরিবারে রাজনৈতীক সুনাম খ্যাতির উপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাহাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে অনৈতীক সহিংসতা ও শত্রুতা চালিয়ে আসছে। প্রতিবেশীরা নিশ্চিত ভাবে ব্যক্ত করেন যে-আমিনুল ইসলাম দেশে অবস্থান কালে এলাকার কিছু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাহার সাথে রাজনৈতীক ক্রন্দলে লিপ্তহয়ে বিভিন্ন ভাবে অনৈতীক চক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে নির্যাতন ও নিপিড়ন চালায় এবং বর্তমানে তাহার অনুপস্থিতিতে প্রায় তাহাদের খামারে ও বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বড় রকম চাদাঁ আদায়ের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। গত ২৪/১১/২২ইং সন্ধায় মহিউদ্দিন সাহেব মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ী ফেরার পথে মুখোশ পরিহিত ৫/৬জন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা ২টি মটোর বাইকে তাহার পথ রোধকরে পুত্র আমিনুলের সন্ধান জানতে বয়স্ক ব্যক্তির সাথে চরম অশোভনীয় আচরন ও চাপ সৃষ্টি এবং ২ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করলে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টিহয়। ফলে এলাকাবাসী তাৎক্ষনিক সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রন করেন এবং সন্ত্রাসীরা পরিস্থিতি বেগতীক বুঝতে পেড়ে হুমকি ধামকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। যাহারপর ধারনা করা যাচ্ছে যে-উক্ত সন্ধার ঘটনা কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পীত ও সুযোগ মোতাবেক গত রাতে ভিকটিমের বাড়ীতে হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আসভাবপত্র ভাঙ্গচুড় এবং নগদ ১৭০,০০০/হাজার টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। ফলে রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের ছোট ছেলে মাইনুল কোচিং থেকে গৃহে ঢুকেই এই অবস্থা দেখের সাথে সাথে তাহার চিৎকারে এলাকার লোকজন দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে মহিউদ্দিন ও তাহার স্ত্রীকে রক্তাক্ত ও অজ্ঞানহীন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেই রাতে পুলিশকে বিষয়টি জানালে পরদিন সকালে পুলিশের একজন এস.আই. উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তথ্য লিপিবদ্ধ করেন কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেফতার বা আইনি কার্যক্রম শুরু করেন নাই বলে প্রতিনিধি নিশ্চিত হয়েছেন।
Leave a Reply