আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
মাদারীপুর রাজৈর উপজেলা খালিয়া ইউনিয়ন বাসিন্দারা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আইন প্রশাসনের চরম দূর্নীতির শিকার হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই বিষয় হতদরিদ্র জনগন বহুবার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে তাহাদের মৌলিক পাওনা আদায়ের আবেদন ও অভিযোগ জানিয়ে বর্তমানে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে অদ্য রবিবার ২৭শে জুন ২০২১ইং সকালে তাহারা সম্মেলীত উপজেলা প্রশাসক কার্যালয় অবরোধ ও ঘেরাও অভিযান চালায়। যাহারফলে ক্ষমতাশীন দলীয় নেতাকর্মিসহ আইন প্রশাসনের কঠোর বাধা ও হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত এবং বিভিন্ন আইনি মামলার শিকার হয়েছে বলে জানা-যায়। এই বিষয় আমাদের প্রতিনিধি আন্দোলনকারীদের জিজ্ঞাসবাদে জানতে পারে যে-বিগত ২০১৯ইং সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষীত গৃহহীন হতদরিদ্রদের বিনা মূল্যে বাসস্থান নির্মান ও পূর্নবাসনের জন্য স্থানিয় সরকার তালিকাভুক্ত করন আবেদন গ্রহনের নোটিশ জারি করে। সেই মোতাবেক এলাকার হতদরিদ্র জনগন অত্যন্ত আস্থাশীল হয়ে খালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আবেদন জানালে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে দূঃনীতির মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার থেকে ৪০/৫০ হাজার এমনকি লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন এবং পরবর্তীতে লক্ষ টাকা ঘুষ দাতারা যথাযথ সম্পত্তি বুঝে নেয়। কিন্তু বেশীরভাগ হতদরিদ্ররা তাহাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ ও ধরনা দিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনৈতীক অজুহাতের সম্মুখীনসহ চরম দূর্বিসহ ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। যাহার প্রেক্ষাপটে ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্টী স্থানিয় কিছু এনজিওর সার্বিক সহযোগীতায় রাজৈর উপজেলা প্রশাসনের কাছে অদ্য সকালে সম্মেলীত হয়ে মানব বন্ধন ও কার্যালয় ঘেড়াও অভিযান চালানোর সময় স্থানিয় ক্ষমতাশীন দলীয় নেতাকর্মি ও আইন সংস্থার বাধার সম্মুখীন হলে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত ও দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। ফলে এইরুপ অনাকাঙ্খিত সংঘর্ষে ৩জন পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১৪জন গুরুতর হতাহত হয়ে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে কিন্তু পুলিশ দাবী করছে যে-আন্দোলন কারীদের হামলায় ১। রেজাউল করিম (৩৮), পিং-আকবর মিয়া, ২। মোঃ তারিক (৩২), পিং-সাহদাত মিয়া নামের ২জন গুরুতর আহতর শারীরিক অবস্থা আশংকাজন বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাহাদের ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরন করা হয়েছে। প্রতিনিধি জানতে পারেন যে-এই অনাকাঙ্খিত হামলা সংঘাত ও দাঙ্গার উপর ভিত্তিকরে পুলিশ বাদী হয়ে অদ্য বিকালে ২২জন আন্দোলন কারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে রাজৈর থানায় মামলা দায়ের করেছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশি তথ্য মোতাবেক যাহাদের মধ্যে ৭জন এনজিওর কর্মচারী ও ৮ জন হতদরিদ্র কৃষক যথাঃ১। মুকছেদ হাসান (৩৮), পিং-ইমাম হাসান, ২। রিজবী খান (৩৬), পিং-মৃত জাহিদ খান, ৩। মুমিনুল হক (৩৮), পিং-ইকরাম উদ্দিন, ৪। সুবীর দাস (৪০), পিং-প্রদীপ দাস, ৫। রিমা আক্তার (৩২), স্বাং-ফরহাদ হোসেন, ৬।তাইফ উদ্দিন (৩০), পিং-আদম মিয়া, ৭।সাইমন খন্দকার (২৭), পিং-মুহিত খন্দকার, এবং ধৃত গৃহহীন কৃষক ৮। মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৫৫), পিং-মৃত আতর আলী, ৯। ফয়েজ উদ্দিন (৩৯), পিং- আমির উদ্দিন, ১০। মোঃআইনুল (৪৭) পিং-মৃত হাকিম মিয়া, ১১। আব্দুল মতিন (৫২), পিং-মৃত জমির উদ্দিন, ১২। শুকান্ত শাহা (৪৮), পিং-মৃত শ্রী চন্দনশাহা, ১৩। মহিবুল হক (৩৪), পিং-মুজিবুল হক,১৪। আবু জীলানি (৩৩) পিং-তাজউদ্দিন, ১৫। ফয়সাল আলম (২২), পিং-মুক্তার হোসেনগংকে গ্রেফতার ও থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার উক্তি মোতাবেক জড়িত আরো ৭জন পলাতক অপরাধীদের পরিচয় যথাঃ ১৬। ইদ্রিছ মোল্লা (৪৪), পিং- আইউব মোল্লা, ১৭। মিজানুল হক (২৭) পিং-হাফিজ উদ্দিন, ১৮। জাকির হোসেন (৩৩), পিং-জুলফিকার হোসেন, ১৯। রাজু বাইজিদ (২২), পিং-মনসুর বাইজিদ, ২০।সজিব দাড়িয়া (২৬) পিং-রবিউল দাড়িয়া,২১। মুশারফ মাতবর (৩৪), পিং-আমজাদ মাতবর, ২২। দেলোয়ার মুন্সি (৪৫), পিং-মৃত কবির মুন্সি গং সকলে রাজৈর উপজেলাধীন খালিয়া ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রনাধীন বিভিন্ন গ্রামের স্থায়ি বাসিন্দা এবং আইন সংস্থা পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতার প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। পুলিশি তথ্য অনুসারে জানাযায় যে-আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতীক দলীয় চক্রান্ত মূলক উস্কানিতে সরকারী আইন প্রশাসন বিরোধী মনগড়া মিথ্যা অপপ্রচারনা চালিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত ও হেওপতিপন্ন করছে বিধায় আইন সংস্থা তাহাদের উপর আইনানুগভাবে প্রতিহত করার সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
Leave a Reply