আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি সংবাদ-
অদ্য ১২ই অক্টোবর ২০২০ ইং ভোর আনুমানিক ৬.৩০/৭.০০ ঘটিকায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আধারা ইউনয়নস্থ পদ্মার পাড় বাংলাবাজারে মেসার্স সরকার মৎস আড়ত ঘেড়ে রিংকু মিয়া (৩৪), পিং-মৃত হাসান মিয়া, সাং-দেওয়ান কান্দি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং আধারা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্যর ক্ষত বিক্ষত ভাসমান মৃত দেহ উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে-গত ১১ই অক্টোবর রবিবার রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় রিংকু পেশাগত ৪/৫জন বন্ধুদের সাথে পদ্মাপাড়ে ব্যবসায়িক কাজকর্ম শেষে যে যার গৃহে ফিরে যায় কিন্তু রিংকু সেই রাতে গৃহে না ফেরায় আত্মিয়সজন মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা চালালে ফোন বন্ধ পায়। ফলে দূঃচিন্তা গ্রস্থ বিধবা মা ও ভাই তাহার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-সকলে যথাসময় পেশাগত কার্যক্রম সমাপনেরপর নিজ নিজ বাড়ী ফিরে আসে এবং রিংকু মিয়াও মটোর সাইকেলে গৃহে ফেরার বিষয় তাহারা নিশ্চিত করে। কিন্তু অদ্য সকালে রিংকুর মৃত দেহ পুলিশ সদস্য এলাকাবাসির উপস্থিতিতে মৎস ব্যবসায়ি আড়তের পাড় থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ দ্রুত সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। তবে রিংকুর মটোর বাইক এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই বলে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তল্লাসি চলমান আছে। ফলে অদ্য দুপুরে ফরেনসিক বিভাগ ময়না তদন্ত রিপোর্টে নিশ্চিত করেন-গত রাত আনুমানিক ১১.০০/১২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম রিংকুকে ধারালো হাতিয়ার দ্বারা কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করারপর হাত পা বাধা অবস্থায় নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়। এই হত্যার বিষয় এলাকাবাসী ও রিংকুর আত্মিয় স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন যে-রিংকু মিয়া গত সেপ্টেম্বর ২০২০ইং এলাকায় চাঞ্চল্যকর অগ্নিদগ্ধ বাংলা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি উজ্জল মিজি ও ব্যবসায়ী পার্টনার সিরাজ সরকার-ডাবল মাডার মামলার আসামী হিসাবে চিহ্নিত। বিধায় উক্ত ২টি ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা প্রতিশোধ পড়ায়ন হয়ে পরিকল্পীত রিংকু মিয়াকে হত্যা করেছে এবং ধারনা করছেন যে-জড়িত আরো ৩জন আসামীদের হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিধায় বাকি ৩জন বাবলা, রুবেল ও নয়ন বিষয়টি বুঝতে পেড়ে এলাকা থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। আইন সংস্থা তাহাদের সাথে ফোনে যোগাযোগে নিশ্চিত হয় যে-গত রাতে ৪/৫জন মাক্স পড়া ব্যক্তি ২টি মটোর বাইকে তাহাদের চারিদিকে নজরদারী করছিল এবং ৩জনের পরিচয় সন্দেহাতী চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। যাহার মধ্যে বাইক চালক রাকিব সরকার ও আরহী মিস্টার মিজিসহ রিজবী সরকার ছিল এবং তাহারা সরকার আড়তের মৃত ২জন মালিকের পূত্র ও ভাই হিসাবে পরিচিতরা বহুবার আড়তে আসা যাওয়া করছিল। ফলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত যে-তাহারা প্রতিশোধ পড়ায়ন হয়ে সুপরিকল্পীত রিংকুকে হত্যা সংঘঠিত করেছে এবং যে কোন সময়/স্থানে বাকি ৩জন আসামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করতে পাড়ে বিধায় জীবনের নিরাপত্তার কারনে বর্তমানে ৩জন এলাকার বাহিরে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে ও আইন প্রশাসন তাহাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। যাহারপর পুলিশের ভাষ্য মোতাবেক জানা যায় যে-মৃত ভিকটিম রিংকুর ভাই উক্ত পলাতক ৩জন ব্যক্তির বয়ানের উপর ভিত্তি করে অদ্য সন্ধায় সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন রিজবী সরকারকে গৃহ থেকে গ্রেফতার করে ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা সহ-পুলিশ কমিশনার এই হত্যার বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপাত করে বাকি ৩জন ব্যক্তিদের নিরাপদে ও পুলিশি নজরদারীতে রাখার জন্য সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করছেন এবং সন্দেহ ভাজন ২জন পলাতক আসামীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
সংবাদ প্রকাশনা তাং-১২/১০/২০২০ ইং রাত ২৩.৩০ ঘটিকা।
Leave a Reply