নোয়াখালী থেকে আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
গতকাল ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং সোনাইমুড়ি উপজেলা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যুবলীগ কর্মি মোঃহাকিম (৩৩), পিং-মোঃরফিক, সাং-মাদ্রাসা পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দাকে গুলি করে হত্যার বিষয় নিশ্চিত করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য-গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকায় সোনাইমুড়ি বিদ্যুৎ ষ্টেশন প্রাঙ্গনে নলকুপ স্থাপন ও সংযোগের কাজ চলাকালিন এলাকার কুখ্যাত চাদাঁবাজ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা আশেক বাহিনীর সাথে ঠিকাদার কর্মিদের সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনার বিষয় প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে-মেসার্স চৌধুরী কন্সট্রাকশনের কর্মচারীরা কাজে নিয়োজীত অবস্থায় যুবলীগ নেতা আশেক ও তাহার দলবল ২টি মটোর বাইকে সেখানে উপস্থিত হয়ে চাদাঁর দাবীতে কর্মিদের সাথে অশোভন আচরন ও কাজে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ড শুরু হয়। একপর্যায় সন্ত্রাসীরা রাজনৈতীক ক্ষমতার জোরে কর্মিদের উপর বিভিন্ন অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে আক্রম চালালে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ সংর্ঘষ সংঘঠিত হয় এবং একপর্যায় কর্মরত শ্রমীকরা ক্ষিপ্তহয়ে সন্ত্রাসী ইয়াকুব, মনির ও হাকিমকে গনপিটুনি দিলে আশেক ও তাহার ২জন সহযোগী একরাম ও রাকিব পরিস্থিতি বেগতীক বুঝতে পেরে এলোপাথারী গুলী নিক্ষেপকরে দ্রুত মটোর বাইকে পালিয়ে যায়।কিন্তু দূঃখজনক তাহাদের নিক্ষেপিত ২টি বুলেট হাকিমের মাথা ও পেটে বিদ্ধ হলে ঘটনা স্থলে লুটিয়ে পড়ে এবং পথচারীরা গুরুতর আহত ৩জন আহতকে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাকিমের মৃত্যু ঘটে। ফলে এই ঘটনাটি এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ ফোর্স দ্রুত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষমহয় এবং কর্মরত ৪জন কমর্চারিকে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেন।অদ্য ভোরে প্রতিনিধি এই হত্যার বিষয় সোনাইমুড়ি খানায় যোগাযোগে জানতে পারেন যে-আইন প্রশাসন সন্ত্রাসী আশেক বাহিনীর ২জন গুরুতর আহত ও প্রত্যক্ষ স্বাক্ষিদের বয়ানের ভিত্তিতে মৃত হাকিমের মা রাজিয়া খাতুন ও পুলিশ বাদীহয়ে গত সন্ধায় ১৪ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করে এবং রাতে আরো ৩জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত ৭জন আসামীকে থানার তত্বাবধানে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান এবং পলাতক ৭জন আসামীকে গ্রেফতারী তৎপড়তা বহাল আছে। পুলিশের ভাষ্য মোতাবেক এই হত্যাকান্ডের দায়ভার প্রাথমিক ভাবে চৌধুরী কন্সট্রাকশনের ১৪জন কর্মচারির উপর বর্তিত তবে সুক্ষ ও নিরপেক্ষ তদন্তর মাধ্যমে পরবর্তিতে মামলার ফলাফল নির্ধারন করা হবে। থানার খতিয়ান মোতাবেক গ্রেফতার কৃত ৭জন আসামীর পরিচয় যথাঃ ১। মোঃ রবিউল (৪০), পিং-রাজ্জাক মিয়া, সাং-জয়াগ বাজার, ২। মুসা মিয়া (৩৫), পিং-মৃত রসুল মিয়া, সাং-মাদ্রাসা পাড়ার-ঐ, ৩। মুকছেদ আলম (৩৩), পিং-আদিল হোসেন, সাং-তালপাড়া পৌররোড-ঐ ৪। জীবন দাস (৩৭), পিং- নবীন দাস, সাং-ঠাকুরবাড়ী-ঐ, ৫। মোঃনজরুল (২৭), পিং-ফরিদ হোসেন,সাং-হাজারীপাড়া-ঐ,৬। মুশারফ আহমেদ (৩৩) পিং-আকবর আহমেদ, সাং-জয়াগ বাজার-ঐ,৭। তৌবুর ভুঞা (২৩), পিং-মুস্তাক ভুঞা, সাং-স্কুল রোড, পৌরবাজার-ঐ, এবং অগ্রেফতারকৃত পলাতক আসামীগং-৮।আরিফুল হাসান রিফাৎ (২০) পিং-মোঃআমির হোসেন, সাং-জয়াগ-ঐ, ৯। মোঃআবুসাইফ (২৩), পিং-মোঃআজাদ, সাং-ঐ ১০। তপন বিশ্বাস (১৯), পিং-মাখন বিশ্বাস, সাং-কুমার পাড়া-ঐ ১১। মুকছেদ মুরশেদ (৪০), পিং-আদম মুরশেদ, সাং-দালাল পাড়া-ঐ ১২। মোঃরউফ (৩৯), পিং-মূদ হাফিজ উদ্দিন, সাং-মাদ্রাসাপাড়া-ঐ,১৩। নিতাই দাস (২৫), পিং- বংকিম দাস, সাং-কলেজ রোড-ঐ,১৪ । মবিন উদ্দিন (৩০), পিং-জামাল উদ্দিন, সাং-জয়াগ বাজার-ঐ, গং মামলায় জড়িত। ফলে প্রতিনিধি চৌধুরী কন্সট্রাকশনের মালিকের সাথে এই বিষয় যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় এবং আসামীদের পরিবারে যোগাযোগে জানতে পারে যে-আইন প্রশাসন আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রতিনিয়ত পরিবারের উপর হামলা নির্যাতন অব্যহত রেখেছে।
Leave a Reply