নোয়াখালী সংবাদ প্রতিনিধিঃ
গতকাল বুধবার ৫ই ডিসেম্বর ২০১৮ইং সকালে নোয়াখালী ঢাকা মহাসড়কে আইন রক্ষাকারি বাহিনী পুলিশের সাথে সোনাইমুড়ি উপজেলা ভূমিহীন হতদরিদ্র কৃষকদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গাফসাদ সংঘঠিত হয়। ফলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীর মধ্যে ভয়াবহ সংর্ঘষে পুলিশ ও জনসাধারনে যানবাহন ভাঙ্গচুড় ও অগ্নিসংযোগ এবং উভয়ের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপে সাধারন জনগন ও পুলিশফোর্স গুরুতর আহতসহ স্থানিয়দের যানমালের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে-এলাকার দরিদ্র কৃষকরা স্থানীয় কিছু এন.জি.ও এবং সমবায় সমিতির মাধ্যমে সরকারী খাস ভূমি সম্পত্তি ও খাল বিল ইত্যাদি লীজভুক্ত আওতায় ফসল উৎপাদনসহ মৎস চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছিল।
কিন্তু প্রতিপক্ষ এলাকার ক্ষমতাশীন দলীয় ভূমি দস্যু চক্র ও স্থানিয় জনপ্রতিনিধির অনৈতীক প্রভাবে বিভিন্নরকম বাধার সম্মুখীন হয়ে ভরা মৌসুমে ফসলী জমিতে সেচের পানি সর্বরাহ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত ও বিভিন্ন ভয়ভীতিকর হুমকি ধামকির সম্মুখীন হচ্ছে। এই নির্মম পরিস্থিতিতে কৃষকরা পঞ্চায়েত ও আইন প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেও কোন সুফল বা প্রতিকার না পাওয়াতে শেষ অব্দি বাধ্য হয়ে ইজারাদার গ্রহিতা চাষী কল্যান সমবায় সমতির উদ্দোগে চাষিরা তাহাদের মৌলিক দাবীদবা সমেত উক্ত সকালে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথে স্থানিয় জনপ্রতিনিধির সন্ত্রাসী দলবলসহ আইন সংস্থার চরম বাধার সম্মুখিন হয়।একপর্যায় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ ইত্যাদি ভয়াবহ দাঙ্গা/মারা মাড়ি সংঘঠিত হলে ক্ষিপ্ত দরিদ্র জনগন ও কৃষকরা পুলিশের মটোর বাইকসহ জীপ গাড়ী এবং প্রাইভেট যানবাহন ভাঙ্গচুড়/অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি নাশকতা কার্যকলাপ চালায়।
কৃষকদের ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের ৪জন সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৪/১৫ জন সদস্য গুরুতর আহত হলে তাহাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তিকরা হয়। এই নির্মম ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার বিষয় সোনাইমুড়ি থানায় যোগাযোগে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার দাবী করেন যে-কৃষকরা দীর্ঘদিন সরকারী খাস জমিজমাসহ নদী নালা বেআইনি জোর ভোগদখলে আছে এবং কিছু দূর্নীতি পরায়ন এন.জি.ও/সমবায় সমিতি অসৎ প্রক্রিয়াতে কৃষকদের অপব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছে।যাহারফলে টি.এন.ওর আদেশে এই বেআইনি সমাবেশ বাঞ্চাল করার সময় উশৃঙ্খল কৃষকদের সাথে পুলিশ ও জনপ্রশাসনের সদস্যদের ভয়াবহ সংঘাৎ ও দাঙ্গা চলাকালিন ১৮জন কৃষককে রাঙ্গাহাতে পুলিশ গ্রেফতারসহ উস্কানিদাতা হোতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ বাদী হয়ে সেইদিন থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন। থানার ও/সির বক্তব্যে আরো বর্ননা করেন যে,এই ঘটনার সাথে বিরোধীদলের কিছু নেতাকর্মীরা স্বক্রিয় জড়িত হয়ে পরিকল্পীতভাবে বিভিন্ন হাতিয়ারে সজ্জিত হয়ে পুলিশের উপরহামলা চালায়। এই মামলার মূখ্য আসামী সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল মালেক, প্রচার সম্পাদক-সাজ্জাদ হোসেন, মকিল্যা পশ্চিম পাড়া যুব কল্যান সমিতির জি,এস মোঃ শাহ পরান, চাষী কল্যান সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মোঃসোহাগ আহমেদ, কোষাদক্ষ-বেলাল হোসেন,সচিব-আবু সুফিয়ান, সহ-কোষাদক্ষ-আব্দুল আউয়াল, নির্বাহী সদস্য-মোঃসাইফুল ইসলাম, মোঃরাজু আহদে,মো:ইয়াছিন, ইসমাইল হোসেন, জিল্লুর রহমান, পিজুশ শাহাসহ আনুমানিক মোট ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতিনিধি আসামীদের পরিবার ও গ্রামবাসির সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-এলাকারগরীব ও ভূমিহীন চাষীরা বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও এনজিওর উদ্দোগে আর্থীক ঋন গ্রহন ও ইজারা ভুক্ত সরকারী খাস জমি দীর্ঘদিন যাবৎ বৈধভাবে পত্তন/বর্গাদার হিসাবে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু স্থানিয় জনপ্রশাসনের ক্ষমতাশীন ও দূর্নীতিবাজ ব্যক্তিবর্গ নিজ স্বার্থে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় খাস জমিজমা জোরদখলসহ জোর জুলুম চালিয়ে তাহাদের অধিকার হরন করছে এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে আইন সংস্থা সরকারী দলের পক্ষ্পাত্তিত্ব করছে।এ বিষয় জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে এলাকারগরীব চাষীরা ন্যায় পরায়ন বিচার বিবেচনার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছে কিন্তু জানা যায় যে-আইন প্রশাসন বর্তমানে মামলাটি তদন্তর নামে গ্রামবাসিদের বিভিন্নভাবে হয়রানিকর নির্যাতন অব্যহত রেখেছে।
Leave a Reply