নোয়াখালী থেকে আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
গতকাল শুক্রবার ১৪ই জুন ২০২৪ইং বিকালে বেগমগঞ্জ থানা নিয়ন্ত্রনাধীন গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানিয় মাদ্রাসার কমিটির লোকজন প্রভাবশালি জামায়েতের নেতা বোরহান উদ্দিনের উস্কানিতে প্রতিবেশী সংখ্যালঘু হিন্দু পশু খামাড়ী অমল ঘোষের গোয়ালে ২টি রিষ্ট পুষ্ট ষাড় জোর জুলুমভাবে ক্রয় কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা ও গোলা গুলিতে মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলানা শরিফ উদ্দিন (৪৮) এবং ২জন ছাত্র মোঃ রাকিব উদ্দিন (১৬) ও মোঃ ইমতিয়াজগন গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে। এই ঘটনার উৎপত্তির বিষয় স্থানিয় প্রত্যক্ষদর্শী কিছু লোকজনের মাধ্যমে জানাযায় যে-অসন্ন কোরবানী ঈদ উপলক্ষে স্থানিয় জামায়েত নেতা বোরহান উদ্দিন কোরবানী উপলক্ষে পাশ্ববর্তি সংখ্যালঘু শ্রী অমল ঘোষের গোয়ালের ২টি রিষ্টপুষ্ট ষাড় গরু ক্রয়ের প্রস্তাব জানালে খামাড়ী ধর্মীয় চেতনায় আঘাৎ প্রাপ্ত হয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। একপর্যায় উভয়ের মধ্যে বিষয়টি তর্ক বির্তক থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি ঘটালে জামাতী নেতা বোরহান উদ্দিনের আদেশে মাদ্রাসার লোকজন খামাড়ীর ২টি ষাড় জোরদবস্থ খামার থেকে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। ফলে স্থানিয় কিছু সুশিল যুবকরা সংখ্যা লঘু ধর্মীয় চেতনার অনভূতির প্রতি সমর্থন দিয়ে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলে মাদ্রাসার উগ্রবাদী লোকজন ক্ষিপ্তহয়ে তাহাদের উপর আক্রমন চালায়। এমতাবস্থায় উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ মারামারি দাঙ্গা চলাকালিন সময় মুখোশ পরিহিত আগ্নে অস্ত্রেধারী কিছু সন্ত্রাসীরা আড়াল থেকে এলোপাথারি গোলাগুলি নিক্ষেপ করলে ঘটনা স্থলে ১১/১২জন গুলি বিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। তাহাদের তাৎখনিক স্থানিয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনায়ন করলে গুরুতর আহত ৩জনের শারীরিক অবস্থার অবনতির কারনে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে তাহারা আই.সি.ইউতে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সম্মুখিন। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা কমিটির স্বাক্ষি প্রমানের ভিত্তিতে জামায়েত নেতা বাদী হয়ে গত রাতে ১। শিশির ঘোষ (৩৬), পিং-অমল ঘোষ, ২। জীবন কুমার (৩৩), পিং-উত্তম কুমার, ৩। রবী ঘোষ (৪২), পিং-মিলন ঘোষ, ৪। রেজা পাটোয়ারী (২৮), পিং-মুস্তাক পাটোয়ারী, ৫। নিজাম উদ্দিন (৩০), পিং- আকরাম মিয়া, ৬। ইমাম হোসেন (২৪), পিং-ইকবাল হোসেন, ৭। তাইফ হোসেন (২১), পিং-নজরুল মিয়া, ৮। মোঃ ইব্রাহিম (৪০), পিং-হাজী মোঃ তোহা, ৯। মোঃ সবুজ আলী (৩৯), পিং-মৃত জবিরুল মিয়া, ১০। ইরফান আহমদ (২০), পিং-রশিদ আহমেদ, ১১। ফারুক ভুঞা (৩৩), পিং-আমজাদ ভূঞা ১২। সুজন সরকার (৩৪), পিং- পিজুস সরকার, ১৩। জসিম উদ্দিন (৪২), পিং-মোঃ মুসা মিয়া, ১৪। মিনহাজুল হক (২৭), পিং-ডাঃ সাফায়েত হাসানগনকে প্রাথমিকভাবে দোষী চিহ্নিত করে সন্ত্রাস ও ধর্ম বিদ্ধেশী আইনে মামলা রুজু করেন। বর্তমানে ৫জন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে আইনের আওতায় জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাকিদের গ্রেফতার করতে আইন সংস্থা সবত্র স্বক্রিয় সন্ধানরত আছেন।
Leave a Reply