দীন ইসলাম
করোনা পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়ায় ডাকাতির সাথে জড়িয়ে যুক্ত হয়ে পড়েছে কয়েকটি চক্র। লকডাউনের সুযোগে স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় তৎপর হয়ে উঠেছে কাজকর্মহীন অনেকেই। বর্তমানে রাজধানীতে ডাকাতির সাথে জড়িত তিনটি চক্র রয়েছে। দুটি চক্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। অপর একটি চক্রের সন্ধান করছে পুলিশ।
শনিবার ১০ জুলাই বিকেলে মিরপুর উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ জেড এম তৈমুর রহমান। মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য পায় পুলিশ।
তৈমুর জানান, ৬ জুলাই রাতে শাহআলী থানাধীন চিড়িয়াখানার লেক এর দক্ষিণে এইচ ব্লক এর সামনে মুরগি বোঝাই একটি পিকআপভ্যান আটকে মুরগি বোঝাই পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জুলাই কেরানীগঞ্জ কলাতিয়া বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় ডাকাতির সাথে জড়িত হৃদয়, সোহেল রানা এবং রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির ঘটনার সাথে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, একটি মোবাইল ফোন নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় পিকআপ এর মালিক ও চালক রায়হান এরই মধ্যে এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
তৈমুর রহমান আরও বলেন, লকডাউন কে কেন্দ্র করে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে অপরাধীরা মিরপুর কে বেছে নেয় কারণ অপরাধ করে পালিয়ে যেতে পারে অপরাধ চক্রের সদস্যরা। লকডাউন কেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
রাতে বেড়িবাধ এলাকাটি অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ে এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। লকডাউন কে কেন্দ্র করে রাতেও আমাদের চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দারুসসালাম জোনের সিনিয়র পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান, শাহ আলী থানার পরিদর্শক তদন্ত মেহেদী হাসান।
Leave a Reply