1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :
চাহিদামতো ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ করে না ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ছাগলনাইয়া মৌরী নদীরপারে অপহৃত জসিম উদ্দিন চৌধুরীর লাশ উদ্ধার ইটনায় সেনাবাহিনীর হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার, সংঘর্ষে আহত ১ শেখ হাসিনা কি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? আইন কী বলে জুডিশিয়াল ক্যু’র মাধ্যমে ড. ইউনূস এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা যেত কী: আইন ও বাস্তবতার বয়ান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে মাস্টাররুলে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়িত্বকরণে মানববন্ধন মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলায় বিএনপি নেতার বাড়ীতে যৌথবাহিনী হামলা ও মামলা বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চাইলে কার নিকট পদত্যাগ করবেন, আইন কী বলে মুন্সিগঞ্জ টুংগিবাড়ী উপজেলায় বিএনপি নেতা দোলন ও কুমারী মুসরাত গুমের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফেনী সদর উপজেলা মধুপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারে হামলা ও ডাকাতি

শেখ হাসিনা কি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? আইন কী বলে

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৮৪৮ বার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন, না পদত্যাগ না করেই দেশ ছেড়েছেন তা আমাদের মতো আমজনতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমরা শুধু ভিডিয়োতে দেখেছি যে, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের দিন তিনি একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে দলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে কোনো ইঙ্গিত না দিয়ে, অকুর পাথারে ফেলে তাঁর একমাত্র ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেছেন। তবে বিপ্লবের দিন বিকাল ৪ টায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বলেন ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ইন্টেরিম গভর্মেন্ট ফরম (অন্তর্বর্তী সরকার) করবো। আমরা দ্রুত মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।’ (কালের কণ্ঠ, ৫ আগস্ট ২০২৪) সেনাপ্রধানের উপরিউক্ত বক্তব্যের আলোকে আমরা জানতে পেরেছি দেশত্যাগের পূর্বে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ করেই দেশ ছেড়েছেন। বর্ণিত ঘটনা ৫ আগস্ট, ২০২৪ এর।

গত ৬ আগস্ট, ২০২৪ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনের উল্লেখ করা হয় যে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র প্রদান করে দেশ ত্যাগ করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে (সংলাগ-১) বিধান রয়েছে যে, ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তার অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করবেন। তবে শর্ত থাকে যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনও পরামর্শদান করেছেন কিনা এবং করে থাকলে কী পরামর্শ দান করেছেন, কোনও আদালত সেই সম্পর্কে কোনও প্রশ্নের তদন্ত করতে পারবেন না।’ (বাংলা ট্রিবিউন, ৬ আগস্ট ২০২৪)

এরপর ৮ আগস্ট, ২০২৪ রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করেন। সবই ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ করে গত ১০ আগস্ট শেখ হাসিনা পুত্র ও তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ব্রিটেনের বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন ‘আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। তিনি একটি বক্তব্য দেওয়া ও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। তাই সময় ছিল না। আমার মা নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি। সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ (প্রথম আলো, ১০ আগস্ট ২০২৪)

এদিকে গত ২৪ আগস্ট, ২০২৪ সিলেটের সদ্য সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আনুমানিক বিকেল ৫টায় অজ্ঞাত স্থান থেকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে হাজির হয়ে দাবি করেন ‘শেখ হাসিনা এখনও পদত্যাগ করেননি। তাঁকে জোর করে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। শেখ হাসিনা অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন।’ (আজকের কাগজ, ২৪ আগস্ট ২০২৪)। সজীব ওয়াজেদ জয় এর রয়টার্সে দেওয়া সাক্ষাৎকারের পর থেকেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয় আসলেই শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি না বা তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি না।

এরপরে ১১ আগস্ট, ২০২৪ প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ নয়া দিল্লির দ্য প্রিন্ট পত্রিকার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যে, ‘নীরবতা ভাঙলেন শেখ হাসিনা, ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলেন’ এই শিরোনামে প্রথম আলো দাবি করে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লাশের মিছিল যাতে দেখতে না হয়, সে জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। তারা শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। তিনি তা হতে দেননি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি দেশে থাকলে হয়তো আরও প্রাণহানি হতো। আরও অনেক সম্পদহানি হতো। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার নামে এরকম একটি বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রথম আলো এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।’ (প্রথম আলো, ১১ আগস্ট ২০২৪)

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া সেনাপ্রধানের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন, রয়টার্সে দেওয়া সজীব ওয়াজেদ জয় এর সাক্ষাৎকার, শেখ হাসিনাকে নিয়ে নয়া দিল্লীর দ্য প্রিন্ট পত্রিকার প্রতিবেদন ও সিলেটের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভিডিয়ো বার্তায় এক এক রকম বিবৃতি পাওয়া যায়। তাই আমরা আসলে কোনটি বিশ্বাস করব? শেখ হাসিনা কী এখনও প্রধানমন্ত্রী আছেন, না নেই? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা একটু বর্তমান সংবিধানের আলোকে দেওয়ার চেষ্টা করব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৭ (১) (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি- তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন।’ সেনাপ্রধানের বক্তব্য ও রাষ্ট্রপতির সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন দেখলে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পূর্বে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ করেছেন তাই এখন আর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নেই। কিন্তু সমস্যা হলো সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দাবি করেছেন যে, দেশত্যাগের পূর্বের শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। এখানেই দ্বন্দ্বের শুরু, এখন আমরা কার কথা বিশ্বাস করব, সেনাপ্রধানের, রাষ্ট্রপতির, না জয় ও আনোয়ারুজ্জামানের? এই প্রশ্নের উত্তরও আমরা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করব।

এখন যদি কেউ উচ্চ আদালতে শেখ হাসিনাকে এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করে রীট পিটিশন দায়ের করে তাহলে আদালতে তা রক্ষনীয় (গ্রহণযোগ্য) হবে কী? হবে কী হবে না তা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা। তবে সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে ধরে নেওয়া যায় আদালতে এই রীট গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, আমরা এই নিবন্ধের প্রথমেই উল্লেখ করেছি যে, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এক্ষেত্রে পদত্যাগ নিয়ে যদি কোনো বিতর্ক হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতির দেওয়া প্রজ্ঞাপনই প্রাধান্য পাবে
এক্ষেত্রে রেফারেন্স হল সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদের (৩) দফার শর্তে উল্লেখ আছে যে ‘তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শদান করিয়াছেন কি না এবং করিয়া থাকিলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোনো আদালত সেই সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।’ অতএব বর্ণিত আলোচনা আমাদের নিকট স্পষ্ট করে যে, যখন রাষ্ট্রপতি প্রজ্ঞাপনে বলেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছে, তাই জয় বা অন্য কেউ পদত্যাগ করেনি বলে দাবি করলেও তার আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। আলোচনার এই পর্যায়ে এসে আমরা নিশ্চিত হলাম যে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি আর বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নেই।

তবে এই আলোচনাই শেষ নয়, এরপরেও কথা থেকে যায়। যাঁরা দাবি করছেন, শেখ হাসিনাই এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁরা কোন যুক্তিতে বলেছেন? তাঁদের দাবিরও যুক্তি আছে, তাঁদের কথা মেনে নিলে শেখ হাসিনাই এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কীভাবে? দাবিদাররা যা চেয়েছিলেন তা যদি সফল হত, তাহলে এখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে থাকতেন। ১০ আগস্ট,২০২৪ সজীব ওয়াজেদ জয় এর দেওয়া সাক্ষাৎকারের পর, বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে জুডিশিয়াল ক্যু’র পরিকল্পনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে শাহবাগ দখল, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট কে কেন্দ্র করে পাল্টা বিপ্লবের মহাপরিকল্পনা, আনসারদের মাধ্যমে সচিবালয় ঘেরাও ও সর্বশেষ রিক্সাওয়ালাদের আন্দোলনের মধ্যে কোনো একটি মাধ্যমে যদি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসতে পারতেন তাহলে দেশত্যাগের পূর্বে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেও তিনিই হতেন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কারণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমান সংবিধানকে স্থগিত না করে বর্তমান সংবিধানের অধীনেই শপথ গ্রহণ করেছেন। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেও, নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাঁর উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শপথ না নেওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। দেশে যদি আর পরবর্তীতে কোনো নির্বাচন নাও হয়, তাহলে আমৃত্যু শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে আইনে কোনো বাধা নেই। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে পুনরায় বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করতে পারতেন। অথবা শেখ হাসিনা সরকার চাইলে ৬ আগস্ট,২০২৪ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট কে পুনরায় আহবান করতেও পারতেন। যদিও এক্ষেত্রে সংবিধানে যুদ্ধ কথাটির উল্লেখ আছে, তারপরেও আমার মনে হয় হাসিনা সরকার যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধের ব্যাখ্যা করে একাজে ব্যবহার করত। সংবিধানের ৭২ (৪) অনুচ্ছেদে লেখা আছে ‘সংসদ ভঙ্গ হইবার পর এবং সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, প্রজাতন্ত্র যে যুদ্ধে লিপ্ত রহিয়াছেন, সেই যুদ্ধাবস্থার বিদ্যমানতার জন্য সংসদ পুনরাহবান করা প্রয়োজন, তাহা হইলে যে সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইয়াছিল, রাষ্ট্রপতি তাহা আহবান করিবেন।’ এই অনুচ্ছেদের সুযোগ নিয়ে, শেখ হাসিনা সরকার চাইলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারতেন। এই সবগুলোই হলো অনুমান বা হতে পারত। বাস্তবে হয়নি তাই শেখ হাসিনাও প্রধানমন্ত্রীর আসনে ফিরে এসে বসতে পারেননি , তবে বিপদ এখনও শেষ হয়ে যায় নি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হতো যদি বিপ্লবীরা বর্তমান সংবিধানকে স্থগিত করে দিতেন। তাহলে মো. সাহাবুদ্দিন আর রাষ্ট্রপতি থাকতে পারতেন না। আজকের নিবন্ধের শেষ পর্যায়ে এসে দাবি করছি, অতি দ্রুত বর্তমান সংবিধান বাতিল করা হোক ও গণপরিষদ গঠন করে বিপ্লবীদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে জনগণের সংবিধান তৈরি করা হোক।
*লেখায় উল্লিখিত পত্রিকার রেফারেন্স সবই অনলাইন ভার্সন।

লেখক:
আরিফুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক, আইন ও বিচার বিভাগ;
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, (বিইউবিটি)।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com